Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • বিদেশ
  • ISIS জঙ্গি ধরতেই ‘মুনির আমাকে ফোন করেন’—মার্কিন সেনা প্রধানের বিস্ফোরক দাবি!
Important

ISIS জঙ্গি ধরতেই ‘মুনির আমাকে ফোন করেন’—মার্কিন সেনা প্রধানের বিস্ফোরক দাবি!

পাকিস্তানের প্রশংসা
Email :12

পাকিস্তানকে “সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে দুর্দান্ত সঙ্গী” (Terrorism) বলে প্রশংসা করলেন মার্কিন সেন্টকম কমান্ডার জেনারেল মাইকেল কুরিলা। কংগ্রেসে শুনানির সময় তিনি বলেন, পাকিস্তান এখন আইএসআইএস-খোরাসানের (ISIS-K) বিরুদ্ধে সক্রিয় লড়াই চালাচ্ছে এবং এই যুদ্ধে তারা যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী (Terrorism) ।

এই মন্তব্য এমন সময় এল, যখন ভারত পহেলগাঁও হামলার (২২ এপ্রিল) পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক প্রচার জোরদার করেছে এবং ইসলামাবাদকে সন্ত্রাসের (Terrorism) পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বিশ্বমঞ্চে একঘরে করতে উঠেপড়ে লেগেছে।

জেনারেল কুরিলা জানান, পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে আইএসআইএস-খোরাসানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি সেনা ডজন খানেক অভিযান চালিয়েছে (Terrorism) । তিনি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের নেতৃত্বের প্রশংসাও করেন। তাঁর কথায়, “তারা আমাদের সঙ্গে মিলে অন্তত পাঁচজন আইএস-খোরাসান জঙ্গিকে ধরেছে।”

এই পাঁচজনের মধ্যে অন্যতম হল মোহাম্মদ শরিফুল্লাহ ওরফে জাফর (Terrorism) , যে ২০২১ সালের কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলার অন্যতম অভিযুক্ত। এই হামলায় ১৩ জন মার্কিন সেনা এবং ১৬০-র বেশি সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছিলেন। কুরিলা জানান, “জাফর ধরা পড়ার পর মুনির সরাসরি আমাকে ফোন করেন এবং বলেন, ‘আমি তাকে ধরেছি। আমি চাইলে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করতে রাজি।’”

তিনি (Terrorism) আরও বলেন, “২০২৪ সালের শুরু থেকে পাকিস্তানে ১,০০০-র বেশি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, যেখানে ৭০০-র মতো নিরাপত্তাকর্মী এবং প্রায় ২,৫০০ সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।”

জেনারেল কুরিলা স্পষ্ট করে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নীতি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে একপেশে নয় হওয়া উচিত (Terrorism) । “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলেই পাকিস্তানের সঙ্গে থাকা যাবে না—এই ধরণের ‘বাইনারি’ চিন্তা বাদ দিতে হবে,”—এমনটাই তাঁর বক্তব্য।

এই সব মন্তব্য অবশ্য ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে, বিশেষত এমন সময় যখন ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছে এবং বিশ্বে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

পহেলগাঁও হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর পর ৭ মে ভারত ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ চালায় এবং ১০ মে ভারত-পাক সেনাবাহিনীর ডিজিএমও পর্যায়ের আলোচনায় সাময়িক শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়।

এদিকে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বারবার বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের শিকার ও অপরাধীর মধ্যে তুলনা চলতে পারে না। তিনি আরও বলেন, ভারত এখন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়ার নতুন মাপকাঠি তৈরি করেছে এবং ভবিষ্যতে এমন হামলা হলে, জবাব দিতে এক মুহূর্ত দেরি করবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts