স্থিতিশীল পানিহাটির (Panihati) এক তরুণীকে নিগৃহীত অবস্থায় উদ্ধার করে সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নির্যাতিতার গোপনাঙ্গে গভীর ক্ষত রয়েছে এবং মাথায়ও আঘাত রয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসকদের নজরদারিতে রয়েছেন।
এই ঘটনায় পুলিশ (Panihati) তদন্তে উঠে এসেছে হাওড়ার বাকড়ার বাসিন্দা শ্বেতা খান ও তাঁর ছেলে আরিয়ান খানের নাম। অভিযোগ, মা-ছেলে মিলে একটি প্রোডাকশন হাউজ পরিচালনা করতেন যেখানে পর্নগ্রাফি নির্মাণের কাজ চলত। স্থানীয়দের মতে, বাড়িতেই এই পর্নগ্রাফির ব্যবসা হত। আরিয়ান সামাজিক মাধ্যমে তরুণীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন এবং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের ডেকে নিয়ে পর্নগ্রাফি শ্যুট করানোর জন্য চাপ দিতেন (Panihati)। পুরো বিষয়টি ঘর থেকে নিয়ন্ত্রণ করতেন শ্বেতা।

তদন্তকারীরা (Panihati) জানাচ্ছেন, শ্বেতা ও আরিয়ান বছরে একাধিকবার বিদেশে গিয়েছেন। শ্বেতা মাঝেমধ্যে ব্যাঙ্কেও যেতেন, যার কারণ ও সম্পর্ক তদন্তের বিষয়। শ্বেতা ও আরিয়ান বর্তমানে পুলিশি তল্লাশিতে রয়েছেন। মনে করা হচ্ছে তারা হয়তো বিদেশে পালিয়ে গেছেন।
তরুণী পানিহাটি থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর নিগৃহীত অবস্থায় ফিরে এসেছিল। পরিবারের অভিযোগের পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং শ্বেতা-আরিয়ানের এই অমানবিক কর্মকাণ্ডের ছয়লা ফাঁস হয়।
এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে দীর্ঘদিন ধরে এমন ভয়াবহ কাজ চলতে পারে।