মহেশতলায় নিখোঁজ নাবালক রহস্যে এবার তদন্তে নামল সিআইডি (Maheshtala Case)। ঘটনার ১০ দিন পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি ইসলামপুরের ওই কিশোরের। এদিকে মূল অভিযুক্ত শাহেনশাহ-সহ আরও দুই ধৃতকে শনিবার সকালে নিয়ে আসা হয় রবীন্দ্রনগর থানায়। শাহেনশাহকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়, তার সঙ্গেই ধরা পড়ে ফিরোজ ও আসিফ নামে আরও দুই যুবক। তিনজনকেই আজ আলিপুর আদালতে পেশ করে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ (Maheshtala Case)।
তদন্তে উঠে এসেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শাহেনশাহকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চলছে—নাবালক কোথায় আছে, আদৌ সে বেঁচে আছে কি না, কিংবা পালিয়ে গিয়ে থাকলে কোন দিক দিয়ে গেছে, কেউ কি দেখেছে তাকে (Maheshtala Case)? সেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে তদন্তকারী অফিসাররা। জেরায় উঠে এসেছে আরও একটি তথ্য—শাহেনশাহ কিছুদিন আগে একবার মালিকের ছেলের কাছে স্কুটার চেয়েছিল। কিন্তু কেন? সে কি পালানোর পরিকল্পনা করেছিল? এসব জানতেই তাকে ম্যারাথন জেরা করছেন SDPO কারুজাম্মান ও তাঁর দল।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন শাহেনশাহ এবং আরও একজন অভিযুক্ত মিলে কারখানা থেকে বেরিয়ে বজবজ হয়ে হাওড়া স্টেশন দিয়ে মুম্বই চলে যায়। সেই মুহূর্তের সিসি ক্যামেরা ফুটেজেও ধরা পড়েছে তাদের ছবি। তবে নিখোঁজ নাবালকের কোনও দৃশ্য এখনও মেলেনি। পুলিশ এখন শাহেনশাহর মোবাইল ফোনের কললিস্ট ও কথোপকথনের ভয়েস মিলিয়ে দেখছে—কার সঙ্গে, কখন, কী কথা হয়েছে।
সব মিলিয়ে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে মহেশতলার নাবালক নিখোঁজ কাণ্ড। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন, পুলিশের উপর চাপ বাড়ছে। এখন সিআইডি-র তদন্তেই আশার আলো দেখছে প্রশাসন।