বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে Bengaluru Stampede -এর ঘটনায় মৃত ১৫ বছরের কিশোরী দিভ্যাংশির পরিবার জানায়, FIR দায়ের করতে তাঁদের প্রায় চার ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।
দিভ্যাংশির মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর শেষকৃত্যের জন্য অন্ধ্রপ্রদেশে। বেঙ্গালুরুর ইয়েলাহাঙ্কার বাড়িতে শোকাহত পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন আত্মীয়রা।
দিভ্যাংশির বাবা শিবকুমার জানান, গেট নম্বর ১৫-তে ঠেলাঠেলির সময় (Bengaluru Stampede) তাঁর মেয়ে পড়ে যায়। সে সময় তাঁর স্ত্রী ও জা-ও সঙ্গে ছিলেন। “কোনো সাহায্যই দেওয়া হয়নি। প্রাথমিক চিকিৎসাও ঠিকভাবে মেলেনি। আমার স্ত্রী সাহায্যের জন্য কাকুতি মিনতি করছিল, কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। শেষে মেয়েকে অটোতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, পুলিশের কোনো সহায়তা ছিল না,”— বলেন শোকস্তব্ধ শিবকুমার।
তিনি আরও বলেন, “সরকারকে পুরো দায় নিতে হবে। মাইসোর প্যালেস রোডে রাজনৈতিক মিটিং হলে কড়া নিরাপত্তা থাকে। এখানে কেন পরিকল্পনা ছিল না? গোয়েন্দা তথ্য বা ভিড় নিয়ন্ত্রণের কোনো প্রস্তুতি ছিল না।”
একই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৮ বছরের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার কামাচ্চি দেবীরও। বেঙ্গালুরুতেই কর্মরত ছিলেন তিনি। RCB-র IPL জয়ের উৎসবে যোগ দিতে গিয়ে প্রাণ হারান। তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে তামিলনাড়ুর তিরুপুর জেলার ময়িলাডুমপারাই এলাকায়।
স্থানীয় একটি স্কুলে রাখা হয় দেবীর মরদেহ। আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীরা এসে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
ঘটনার পরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া হাসপাতালে যান আহতদের দেখতে। তিনি বলেন, “এই দুর্ঘটনা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ধরনের ঘটনা ঘটা উচিত ছিল না।”
তিনি আরও জানান, নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এবং আহতদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা করানো হবে।
এই (Bengaluru Stampede Death)-এর ঘটনায় গোটা দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে এবং প্রশাসনিক গাফিলতির প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র।