ভয়ঙ্কর দাবানলের (Wild fire) কবলে ক্যানিফোর্নিয়া। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে, দাবানল (Wild fire) লস অ্যাঞ্জেলস ছাড়িয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার অন্যান্য শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে কয়েক হাজার বাড়ি পুড়ে (Wild fire) কার্যত ছাই হয়ে গিয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলসে দাবানলের (Wild fire) জেরে কমপক্ষে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে (Wild fire)। জারি করা হয়েছে সতর্কতা (Wild fire)।
লস অ্যাঞ্জেলসের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে আগুন ছড়াচ্ছে শহুরে এলাকাতেও। তাই জোর কদমে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনদের সরানো হচ্ছে। আল জাজিরা সূত্রে খবর, সান্টা মনিকা ও মালিবুর ছাড়াও আরও চার জায়গায় পৃথকভাবে দাবানলের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। গতকাল বুধবার ৫ জনের মৃত্যুর খবর মেলে। আহতের সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। জখম বহু দমকলকর্মী ও উদ্ধারকারী। প্রাণভয়ে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার একাধিক জায়গা থেকে এখনও পর্যন্ত ৭০ হাজার বাসিন্দা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই আগুনের গ্রাসে চলে গিয়েছে হাজার খানেক বাড়ি। যা লস অ্যাঞ্জেলসের দাবানলের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর। এই ভয়াবহ বিপর্যয়ের কারণে ইটালি সফর বাতিল করেছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এনিয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন পিয়ের সংবাদমাধ্যমে বলেন, “বুধবার বিকালে লস অ্যাঞ্জেলসে গিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে তিনি পুলিশ, দমকলবাহিনী ও উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে দেখা করেন। ক্যালিফোর্নিয়ায় বড়সড় বিপর্যয় ঘোষণা করা হয়েছে। সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রেসিডেন্ট বাইডেন তাঁর ইটালি সফর বাতিল করেছেন। তিনি এখন গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন, নজর রাখছেন।”
বলে রাখা ভালো, প্রথমে সান্টা মনিকা ও মালিবুর মধ্যবর্তী অন্তত ১২৬২ একর জমি দাবানলে জ্বলতে শুরু করে। শুকনো আবহাওয়ায় প্রবল হাওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এখনও হাওয়ার গতি প্রবল। ফলে হিমশিম খেতে হচ্ছে দমকলকে। বাড়ির পাশাপাশি রাস্তায় থাকা গাড়িও দাউদাউ করে জ্বলছে। লস অ্যাঞ্জেলসের আকাশ ঢেকেছে কালো ধোঁয়ায়। যার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু ও বয়স্করা। লস অ্যাঞ্জেলসের অর্থ ‘পরিদের শহর’। সেই শহরই এখন আগুনের গ্রাসে। তাই এই আগুন কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আসবে সেদিকেই নজর সকলের।