Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • আগুন নেভাতে গিয়ে বেরিয়ে এল পাঁচশো টাকার পাহাড়! কাকে আড়াল করতে চেয়েছিলেন বিচারপতি?
দেশ

আগুন নেভাতে গিয়ে বেরিয়ে এল পাঁচশো টাকার পাহাড়! কাকে আড়াল করতে চেয়েছিলেন বিচারপতি?

justice verma
Email :4

বিচারপতি যশবন্ত বর্মার সরকারি বাসভবনে একটি বড় অঙ্কের নগদ টাকা উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিচারবিভাগীয় মহলে (Justice Varma)। এই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত একটি তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, বিচারপতির (Justice Varma) বাড়িতে আগুন লাগার পরে বহু প্রত্যক্ষদর্শী লক্ষ করেন, একটি ঘরে বিশাল পরিমাণ পাঁচশো টাকার নোট ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে—কিছু টাকা আধপোড়া অবস্থাতেও ছিল। অথচ এত বড় ঘটনা সত্ত্বেও বিচারপতি বা তাঁর পরিবারের কেউই পুলিশ বা বিচার বিভাগের কোনও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাননি। তদন্ত কমিটি এই আচরণকে ‘অস্বাভাবিক’ বলে বর্ণনা করেছে এবং বিচারপতি বর্মার অপসারণের সুপারিশ করেছে।

তদন্তে উঠে এসেছে, দিল্লির তুঘলক রোড এলাকার সরকারি বাসভবনের যে ঘরটিতে আগুন লাগে, সেটির প্রবেশাধিকার শুধুমাত্র বিচারপতি (Justice Varma) ও তাঁর পরিবারের ছিল। আগুন নেভাতে আসা দমকল ও পুলিশ কর্মীরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচশো টাকার নোটের বিশাল স্তূপ দেখেছেন। তদন্ত কমিটি বলছে, ভিডিও ফুটেজ, ছবি এবং দমকল ও পুলিশের রিপোর্ট এই দাবি সমর্থন করে। পরে সেই ঘর পরিষ্কার করে ফেলা হয় এবং কোথাও সেই টাকার উল্লেখ মেলেনি। টাকার পুরোপুরি কী হল, তা-ও অজানা।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আগুন লাগার পর যাঁরা প্রথম পৌঁছেছিলেন, যেমন দিল্লি ফায়ার সার্ভিস এবং তুঘলক রোড থানার কর্মীরা, তাঁদের মধ্যে অন্তত ১০ জন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন যে তাঁরা ওই টাকা চোখে দেখেছেন (Justice Varma)। এমনকি, তাঁদের মধ্যে এক জন বলেছেন, “জীবনে প্রথম এত টাকা একসঙ্গে দেখে আমি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম।”

তবে সবচেয়ে বিস্ময়ের বিষয়, এই ঘটনা নিয়ে বিচারপতি যশবন্ত বর্মা (Justice Varma) কোনও পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেননি, এমনকি বিচারপতিদের প্রধান বা সুপ্রিম কোর্টকেও কিছু জানাননি। তদন্ত কমিটির মতে, বিচারপতির এই আচরণ একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। যদি সত্যিই কোনও ষড়যন্ত্র হত, তাহলে তাঁর উচিত ছিল অভিযোগ জানানো। বরং, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

এমনকি তদন্তে জানা যায়, বিচারপতির (Justice Varma) ব্যক্তিগত সচিব দমকল কর্মীদের নির্দেশ দেন যেন সরকারি রিপোর্টে নগদ টাকার কথা উল্লেখ না করা হয়। এবং দমকল বিভাগকে উপরের মহল থেকে জানানো হয় যে বিষয়টি আর না টানার জন্য।

যদিও বিচারপতির (Justice Varma) বাড়ির গৃহকর্মীরা দাবি করেছেন যে তাঁরা কোনও টাকা দেখেননি, তবে তদন্ত কমিটি মনে করে, পুলিশ ও দমকল কর্মীদের নিরপেক্ষ সাক্ষ্য প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য।

এই ঘটনার সঙ্গে বিচারপতির মেয়ে দিয়া বর্মা এবং তাঁর ব্যক্তিগত সচিব রাজিন্দর সিং কার্কির ভূমিকাও তদন্তে উঠে এসেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাট এবং ঘটনাস্থল সাফ করার সম্ভাব্য অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনার সূত্রপাত মার্চ মাসে। সেই সময় বিচারপতির দিল্লির বাসভবনে আগুন লাগে। তদন্তে উঠে আসে, সেখান থেকে প্রায় ১.৫ ফুট উচ্চতায় নগদ টাকার স্তূপ পাওয়া যায়। এরপরই তাঁকে আবার এলাহাবাদ হাই কোর্টে ফিরিয়ে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কোনও বিচারিক দায়িত্বে নেই। তবে বিচারপতি বর্মা এখনও নিজের নির্দোষত্ব দাবি করে যাচ্ছেন এবং বলেন, এই তদন্ত প্রক্রিয়া ‘মূলত অন্যায্য’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts