ইন্দোরের রাজা রঘুবংশী হত্যা (Meghalaya Murder) মামলায় এক নতুন মোড় এসেছে। তদন্তে উঠে এসেছে সোনম রঘুবংশীর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের সূত্রে এক ব্যক্তির নাম—সঞ্জয় বর্মা। সূত্রের খবর, সোনম ও সঞ্জয়ের মধ্যে বারবার ফোনে কথা হত। ‘ট্রু কলার’ অ্যাপে এই নম্বর সঞ্জয় বর্মার নামে দেখা যাচ্ছে।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ১ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত সোনম এই নম্বরে ১০০-র বেশি বার কল করেছিলেন (Meghalaya Murder)। এমনকি আরও কিছু সূত্র দাবি করছে, এই সময়ের মধ্যে সোনম মোট ২৩৪ বার ওই নম্বরে ফোন করেন। যদিও এই তথ্য সরকারি ভাবে এখনও নিশ্চিত হয়নি (Meghalaya Murder)।
এই নম্বরটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এটি শেষবার চালু ছিল ৮ জুন রাত ১১টা ২০ মিনিটে, যেই সময় সোনম ঘাজিপুরে ছিলেন। তদন্তকারীরা এখন খতিয়ে দেখছেন, নম্বরটি ভুয়ো পরিচয়ে নেওয়া কোনও সিম নম্বর কি না।
রাজা রঘুবংশী হত্যা মামলার তদন্ত এখন আরও জোরদার হয়েছে। মঙ্গলবার পুলিশ অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার পুনর্গঠন করেছে। সেইসঙ্গে, রাজার ভাইদেরও বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শিলং পুলিশের এসআইটি (বিশেষ তদন্তকারী দল) সোনমকে তাঁর বাড়িতেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে সূত্রের খবর।
শিলং পুলিশ জানিয়েছে, ২৩ মে, রাজাকে মেঘালয়ের ইস্ট খাসি হিলস এলাকায় একটি গভীর গিরিখাতে ফেলে খুন করা হয়। তাঁর দেহ ১০ দিন পরে, ২ জুন উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ দাবি করেছে, প্রথমে রাজাকে স্থানীয়ভাবে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ‘দাও’ দিয়ে মারধর করে অভিযুক্ত বিষ্ণু সিং চৌহান, যাকে সোনম তিনজন ভাড়াটে খুনি হিসেবে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। পুলিশ আরও জানায়, সোনম এই আক্রমণের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, রাজা চিৎকার করলে তিনি পালিয়ে যান এবং রাজা মারা যাওয়ার পরই ফিরে আসেন।
তদন্ত চলছে, এবং শিলং ও ইন্দোর—দুই জায়গাতেই পুলিশ তথ্য যাচাই করে দেখছে। সোনম ছাড়াও, আরেক অভিযুক্ত রাজ কুশওয়াহার বাড়িতেও তদন্ত চালাতে পারে পুলিশ।
