আহমেদাবাদের একটি সাধারণ দিন আচমকা রূপ নেয় এক বিভীষিকাময় দুঃস্বপ্নে (Plane Crash)। বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ আকাশে এক বিকট বিস্ফোরণের শব্দ—তারপর সবকিছু যেন আগুন আর ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। সদ্য উড়ে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ে (Plane Crash)। বিমানটি লন্ডনের গ্যাটউইকের দিকে যাচ্ছিল।
বিমান দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হংসা বেন বলেন, “আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমার জা চা-এর দোকান চালাতো সেখানেই। ও আর ওর ছেলে—দুজনেই সেখানে ছিল। ছেলেটি মাত্র ১৫ বছরের, খাটিয়ায় শুয়ে ঘুমাচ্ছিল। হঠাৎ আগুন লাগে আর সেই আগুনে ও আটকে পড়ে। ছেলেটি বাঁচেনি। ওর মা এখন হাসপাতালে ভর্তি (Plane Crash)।”
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী সুরজ গজ্জর বলেন, “বিস্ফোরণটা (Plane Crash) যখন হলো তখন আমরা আমাদের বাড়ি থেকে দৌঁড়ে বেরিয়ে আসি, বাড়ি থেকে জায়গাটা মাত্র ৫০০ মিটার দূরে। সবার সাথেই আমরাও ছুটে যাই ঘটনাস্থলে। মাত্র ৫–৬ মিনিটের মধ্যে পুলিশ, দমকল, সব জরুরি পরিষেবা চলে আসে এবং টানা কাজ শুরু করে। বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে দেহগুলো উদ্ধার করা হচ্ছে। যতটা সম্ভব দ্রুত উদ্ধার কাজ চলছে।”
এক তরুণ বলেন, “আমি মাত্র ৪০ সেকেন্ডের জন্য বেঁচে গেছি। আমার দাদা’র কলেজে ভর্তি করাতে যাচ্ছিলাম, একটু আগেই পৌঁছালে হয়তো আমিও মারা যেতাম। আমি সঙ্গে সঙ্গে আমার বন্ধুবান্ধবদের ফোন করি (Plane Crash)। কেউ আগুনের ধারে যেতে সাহস করছিল না। আমরা পৌঁছে প্রথমে ক্যানটিনে যাই, গ্যাস সিলিন্ডারগুলো সরানোর চেষ্টা করি, যাতে আরও বিস্ফোরণ না হয়। একটা বিস্ফোরণ তখনই হয়ে গেছে। নিজেদের নিরাপত্তার কথা না ভেবে আমরা আটকে পড়াদের উদ্ধার করার চেষ্টা করি।”
যারা দুর্ঘটনাস্থলের (Plane Crash) মাত্র কয়েক গজ দূরে ছিলেন, তাঁদের জন্য এটি আজীবন দুঃসহ স্মৃতি হয়ে থাকবে। সাহায্যকারী দলগুলি এখনও উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে, আর স্থানীয় মানুষজন সেই বিভীষিকার মুহূর্তগুলি আজও মনে মনে ঝড়ের মতো বয়ে নিয়ে চলেছেন।