Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ছেলের এক মেইলেই বাবার জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্মান—দুবাই এয়ারপোর্টস দিল ‘সম্মানজনক সিল’
বিদেশ

ছেলের এক মেইলেই বাবার জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্মান—দুবাই এয়ারপোর্টস দিল ‘সম্মানজনক সিল’

dubai indian origin
Email :10

দুবাইয়ের (Dubai) এক ব্যতিক্রমী ও হৃদয়ছোঁয়া উদ্যোগে সম্মানিত হলেন ৯০ বছর বয়সী ভারতীয় প্রবাসী হাজি এন জামালুদ্দিন। ১৯৬৫ সালে প্রথমবার দুবাইয়ে পা রেখেছিলেন তিনি, তখনো আধুনিক ইমিগ্রেশন ব্যবস্থার অস্তিত্ব ছিল না (Dubai)। প্রায় ৬০ বছর পর, দুবাই এয়ারপোর্টস কর্তৃপক্ষ তার সেই প্রথম আগমনের স্মৃতিতে তাকে একটি প্রতীকী পাসপোর্ট সিল উপহার দেয়—a স্মারক, যা তার দীর্ঘ প্রবাসজীবনকে সম্মান জানায়।

জামালুদ্দিন একজন প্রথিতযশা শিক্ষক ও Crescent English High School-এর প্রতিষ্ঠাতা, যেটি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর অন্যতম সাশ্রয়ী ও জনপ্রিয় স্কুল হিসেবে পরিচিত (Dubai)। ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলে বর্তমানে ১,৭০০-র বেশি শিক্ষার্থী পড়ে।

১৯৬৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি, মুম্বই (তৎকালীন বম্বে) থেকে জাহাজে করে দুবাই আসেন (Dubai) জামালুদ্দিন। তখন দুবাইয়ে (Dubai) কোনও বন্দরই ছিল না, ছিল না কোনও ইমিগ্রেশন সিলও। দীর্ঘ ছয় দশক পেরিয়ে যাওয়ার পর, তাঁর ছেলে রিয়াস জামালুদ্দিন সিদ্ধান্ত নেন—বাবার এই দীর্ঘ প্রবাস জীবনের স্মরণে একটি নতুন “UAE Entry Stamp” উপহার দিতে চান।

তিনি মূলত দুবাই (Dubai) এয়ারপোর্টসের সিইও পল গ্রিফিথসকে একটি ইমেল করতে চেয়েছিলেন নামাজ ঘরে আরও কিছু চেয়ার রাখার অনুরোধ জানিয়ে, কিন্তু পরে বাবার জন্য একটি স্মারক সিলের আবেদন জানান। “আমি ভেবেছিলাম কেউ ফিরেও তাকাবে না,”—বলেছেন রিয়াস। কিন্তু সেই ইমেইলই বদলে দিল ইতিহাস। দুবাই কর্তৃপক্ষ জামালুদ্দিনকে বিশেষভাবে সংবর্ধনা জানায় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে সেই সিল তুলে দেয়।

“এই সিল শুধু একটা পাসপোর্টের ছাপ নয়, এটা দুবাইয়ের দেওয়া সম্মান, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার প্রতীক,”—বলেছেন হাজি জামালুদ্দিন।

“Year of Community”-এর অংশ হিসেবে দুবাই (Dubai) এয়ারপোর্টস এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে লিখেছে, “তিনি এমন সময় দুবাই এসেছিলেন, যখন এখানে বন্দরের চিহ্নমাত্র ছিল না। তখন কোনও ইমিগ্রেশন সিলও ছিল না। আজ, তার অবদান ও ভালোবাসাকে সম্মান জানাতে আমরা গর্বিত।”

দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে Crescent English High School-এর শিক্ষার্থীদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেখানে তারা বিমানবন্দরের ভিতরের কাজকর্ম সম্পর্কে জানার সুযোগ পায়—একটি শিক্ষণীয় ও প্রেরণাদায়ক সফর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts