ওয়ানড় উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। সিপিআই প্রার্থী সত্যন মকেরিকে প্রায় ৪ লক্ষ ১০ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে দেন তিনি। তবে সেই জয়ের কয়েক মাস পরেই প্রশ্ন উঠল তাঁর মনোনয়ন সংক্রান্ত তথ্য ঘিরে। বিজেপি নেতা নব্য হরিদাস কেরল হাই কোর্টে অভিযোগ করেছেন, প্রিয়াঙ্কা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নিজের সম্পত্তি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করেছেন।
নব্য হরিদাস, যিনি নিজেও ওয়ানড় উপনির্বাচনের প্রার্থী ছিলেন, আদালতের কাছে দাবি করেছেন— প্রিয়াঙ্কার (Priyanka Gandhi) এই তথ্য গোপন একপ্রকার ভোটারদের বিভ্রান্ত করেছে এবং নির্বাচনে অযাচিত প্রভাব ফেলেছে। তাই তাঁর মতে, প্রিয়াঙ্কার জয়কে অবৈধ ঘোষণা করে গোটা উপনির্বাচন বাতিল করা উচিত।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে কেরল হাই কোর্টের বিচারপতি কে বাবুর বেঞ্চ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে (Priyanka Gandhi) সমন পাঠিয়েছে। আগামী আগস্ট মাসে মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

হরিদাসের দাবি অনুযায়ী, প্রিয়াঙ্কা (Priyanka Gandhi) নিজের এবং তাঁর স্বামী রবার্ট ভঢরার বেশ কিছু অস্থাবর সম্পত্তি এবং বিনিয়োগের তথ্য মনোনয়নে জমা দেওয়া হলফনামায় উল্লেখ করেননি। এই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের আরজি জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধী দুই কেন্দ্র— রায়বরেলি ও ওয়ানড়— থেকে দাঁড়িয়েছিলেন এবং দুই জায়গাতেই জয় পান। পরে তিনি মায়ের পুরনো আসন রায়বরেলি রেখে দেন, এবং ওয়ানড় ছেড়ে দেন প্রিয়াঙ্কার জন্য। সেখানেই উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রিয়াঙ্কাকে প্রার্থী করে। যদিও সেখানে কংগ্রেসের জোটসঙ্গী সিপিআই-ও প্রার্থী দেয়। তবে প্রিয়াঙ্কা বিশাল ভোটে জয়লাভ করেন।
কংগ্রেস এই অভিযোগকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ। দলীয় তরফে বলা হয়েছে, এটি বিজেপির ‘সস্তা রাজনীতি’ এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া কিছু নয়।
উল্লেখযোগ্য, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi) দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও এই উপনির্বাচনের মধ্য দিয়েই সরাসরি ভোটে লড়েন। তাঁর নাম বহুবার প্রধান নির্বাচনের সময় প্রাসঙ্গিক হয়েছে, এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বারাণসীতে প্রার্থী হওয়ার জল্পনাও উঠেছিল আগেরবার। তবে শেষমেশ অপেক্ষাকৃত নিরাপদ বলে মনে করা ওয়ানড় থেকেই তাঁর রাজনৈতিক আত্মপ্রকাশ হয়।