ইন্দোরের ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীর নির্মম হত্যাকাণ্ডে (Meghalaya Murder) দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের একজনকে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়ার সময় এক পথচারী হঠাৎ করে হামলা চালান। ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাটি ঘটে যখন শিলং পুলিশ অভিযুক্তদের (Meghalaya Murder) বিমানবন্দর হয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় এক ব্যক্তি, সুশীল লাখওয়ানি নামে চিহ্নিত, আচমকাই এক অভিযুক্তের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং তাকে মারার চেষ্টা করেন।
পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে লাখওয়ানি বলেন (Meghalaya Murder) , “আমি ইন্দোরের একজন নাগরিক হিসেবে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। আমাদের শহরের একজন নির্দোষ মানুষকে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে। আমি তাকে মেরেছি কারণ তারা দোষী। তাদের ফাঁসি হওয়া উচিত। ও মহিলা (সোনম) পরিকল্পনা করেই এই খুন করেছে।”

ঘটনার সূত্রপাত হয় ১১ মে, যখন রাজা রঘুবংশী ও সোনম বিয়ে করেন। তারপর ২০ মে তাঁরা হানিমুনে মেঘালয়ে (Meghalaya Murder) যান। ২২ মে তাঁরা মাওলাখিয়াত গ্রামে পৌঁছান একটি ভাড়া করা স্কুটারে। ২৪ মে সেই স্কুটারটি একটি ক্যাফের সামনে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর থেকেই দু’জন নিখোঁজ ছিলেন।
দীর্ঘ তল্লাশির পর ২ জুন ওয়াইসাডং জলপ্রপাতে একটি খাদে রাজা রঘুবংশীর মৃতদেহউদ্ধার হয়। সোনম তখনও নিখোঁজ ছিলেন। অবশেষে ৯ জুন উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে আত্মসমর্পণ করেন ২৪ বছরের সোনম।
#WATCH | Indore | Sushil Lakwani says, “I have hit him (one of the accused in Raja Raghuvanshi case) because I am angry that a resident of Indore was killed. They (the accused) should be hanged till death. The woman killed the man with full planning.” pic.twitter.com/Ol64q7yYQG
— ANI (@ANI) June 10, 2025
মেঘালয় পুলিশের (Meghalaya Murder) ডিজিপি আই ননরং জানিয়েছেন, সোনম নিজের স্বামীকে খুন করার জন্য পেশাদার খুনি ভাড়া করেছিলেন। এ ঘটনায় সোনম-সহ মোট পাঁচজনকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন সোনমের প্রেমিক রাজ কুশওয়াহাও।
এই হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে সারা দেশে ক্ষোভ ও শোকের ঢেউ উঠেছে।