বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান মুহাম্মদ ইউনুসের (Muhammad Yunus) বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। ঢাকায় সরকার বিরোধী মিছিল, সভা-সমাবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ইউনুসের সরকারি বাসভবন ‘যমুনা গেস্ট হাউস’ এবং বাংলাদেশ সচিবালয়সহ আশেপাশের এলাকাও অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘিরে ফেলা হয়েছে।
নতুন এক সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী (Muhammad Yunus) , কোনো কর্মচারী অনিয়ম করলে তাঁকে ১৪ দিনের মধ্যে বিচার ছাড়াই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যাবে — এই আইনকে ‘কালো আইন’ বলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সরকারি কর্মীরা। তাঁদের দাবি, এই আইন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
ডিএমপি কমিশনার এস এম সাজ্জাদ আলী জানিয়েছেন, এই নিষেধাজ্ঞা ‘জননিরাপত্তা ও প্রধান উপদেষ্টার সুরক্ষার স্বার্থে’। এর আগেও, ১০ মে ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড মোতায়েন করা হয়েছিল (Muhammad Yunus) ।
এদিকে ঈদের ছুটিতে আন্দোলন কিছুটা স্তিমিত হলেও, সরকারি কর্মীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—১৫ জুনের মধ্যে দাবি না মানলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনে নামবেন (Muhammad Yunus) । সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম বলেছেন, ভবিষ্যতে আন্দোলন হবে আরও ভয়ঙ্কর।
তাদের পাশাপাশি, দেশের হাজার হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকও এখন অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে নেমেছেন — তাদের দাবিও ন্যায্য বেতনসহ নানা সুযোগ-সুবিধা।
অন্যদিকে, ইউনুসের সরকার ঘোষণা করেছে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে নির্বাচন হবে। কিন্তু এতে তৈরি হয়েছে নতুন সন্দেহ—অনেকে ভাবছেন, তিনি হয়তো নির্বাচন ছাড়াই দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকার ছক কষছেন। বিরোধী দল বিএনপি এর বিরুদ্ধে বড় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও চান, ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন হোক।
ঈদের ছুটির পর, আন্দোলন যে নতুন মাত্রা পাবে তা নিশ্চিত। মুহাম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার ক্রমশ চাপে পড়ছে — এবং প্রতিটি দমন-পীড়নে বাড়ছে মানুষের অবিশ্বাস, দেশের রাজনৈতিক সংকটও হয়ে উঠছে আরও গভীর।