ভরা বাজারে হঠাৎ গুলির শব্দে চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়ির (Siliguri) দেবীডাঙ্গা এলাকায়। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে প্রধাননগর থানার অন্তর্গত দেবীডাঙ্গা বাজারে। আচমকা গুলির আওয়াজে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাজারের v ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ, সঙ্গে ছিলেন প্রধাননগর থানার আইসি বাসুদেব সরকার।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় বাসিন্দারা(Siliguri) নিজেরাই একজন দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে এবং পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে। ধৃতের নাম দীপক কামতি ওরফে দীপু। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র, ম্যাগাজিন ও কার্তুজ। তবে তার সঙ্গীরা গা ঢাকা দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মাদক কারবারিদের সঙ্গে স্থানীয়দের বিবাদের জেরে এই গুলিচালনার ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
স্থানীয়দের (Siliguri) দাবি, বহুদিন ধরেই এলাকায় মাদক পাচার এবং মাদক কারবারিদের উৎপাত বাড়ছিল। এদিন রাতেও মাদক চক্রের সদস্যরা এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল, তখন প্রতিবাদ করতেই শুরু হয় উত্তেজনা ও গুলিচালনা।
শিলিগুড়িতে (Siliguri) অপর একটি ঘটনায় সম্প্রতি চাঞ্চল্য ছড়ায় বিদেশি মদ পাচারের চেষ্টায়। অভিনব কায়দায় মদ পাচার হচ্ছিল পেটি পেটি করে, বাঁধাকপির নিচে লুকিয়ে। পিক আপ ভ্যানে রাখা ছিল লক্ষাধিক টাকার বিদেশি মদের বোতল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাজ্য আবগারি দফতরের আধিকারিকরা আগে থেকেই সতর্ক ছিলেন। অবশেষে পিক আপ ভ্যানটি থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। ৭২ পেটি বিদেশি মদ উদ্ধার হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা। ধৃত চার পাচারকারী বিহারের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
এছাড়াও, মালদা টাউন স্টেশনে গাঁজা পাচারকালে ধরা পড়ে দুই পাচারকারী। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তারা একটি ট্রলি ব্যাগে করে গাঁজা বহন করছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মালদা জিআরপি তাদের আটক করে। তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় প্রায় ২৭ কেজিরও বেশি গাঁজা, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ১১ লক্ষ টাকা।
এই তিনটি ঘটনায় একদিকে যেমন শিলিগুড়ির আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তেমনি মাদক ও মদের পাচার রোধে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।