ভারতের নভোচারী (Indian Astronaut) শুভ্রাংশু শুক্লা আগামী ১০ জুন স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেট ও ড্রাগন স্পেসক্রাফ্টের মাধ্যমে মহাকাশে যাত্রা করবেন। এই মিশন ‘অ্যাক্সিওম স্পেস, Ax-4’ নামে পরিচিত, যা ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। প্রায় ২৮ ঘণ্টার যাত্রার পর, ১১ জুন রাত ১০টা নাগাদ ভারতীয় সময় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS)-এ ডক করার কথা রয়েছে।
এই মিশন ভারতের পাশাপাশি পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তিন দেশের প্রথম সরকারি স্পন্সর করা মানব মহাকাশ যাত্রা প্রথমবারের মতো ৪০ বছরের বেশি সময় পরে। যদিও এই তিন দেশ তাদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো মানব মহাকাশযাত্রায় অংশ নিচ্ছে, এটি হবে প্রথমবার যখন তারা একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে একটি মিশন (Indian Astronaut) সম্পন্ন করবে।
অ্যাক্সিওম স্পেসের অফিসিয়াল পেজ জানায়, এই মিশন প্রমাণ করবে কীভাবে অ্যাক্সিওম স্পেস কম ভূপৃষ্ঠের কক্ষপথে মানুষের যাত্রার পথ পরিবর্তন করছে এবং বিভিন্ন দেশের মহাকাশ কর্মসূচিকে উন্নীত করছে।

মিশনের পাইলট হিসেবে শুভ্রাংশু শুক্লা (Indian Astronaut) থাকবেন। তাঁর সঙ্গে থাকবেন মিশন কমান্ডার পেগি হুইটসন, যিনি একজন প্রাক্তন নাসা নভোচারী। এছাড়াও মিশনে অংশ নেবেন হাঙ্গেরির টিবর কাপু এবং পোল্যান্ডের স্লাওসজ উজনান্সকি-উজনিউস্কি। তাঁরা ১৪ দিন পর্যন্ত ISS-এ থেকে বৈজ্ঞানিক গবেষণা, জনসংযোগ কার্যক্রম এবং বাণিজ্যিক কাজ সম্পন্ন করবেন।
এই মিশন নাসা এবং ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO)-এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার অংশ। পাঁচটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও দুটি STEM (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) ডেমোনস্ট্রেশন যৌথভাবে সম্পন্ন হবে। দু’টি সংস্থাই মহাকাশ গবেষণায় বৈজ্ঞানিক জ্ঞান বৃদ্ধির ও সহযোগিতার লক্ষ্যে কাজ করছে।
প্রথমে মিশনের উৎক্ষেপণ ৮ জুন নির্ধারিত ছিল, কিন্তু আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে তা ১০ জুনে পরিবর্তিত হয়। এই মিশন ভারতের মহাকাশ ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে, যা গগনযান মিশনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির প্রথম নভোচারীরা এই মিশনের মাধ্যমে ISS-এ অবস্থান করবেন, যা আন্তর্জাতিক মহাকাশ অনুসন্ধানে দেশের সহযোগিতার দৃষ্টিকোণ থেকে একটি বড় পদক্ষেপ।