কাকদ্বীপে এক ব্যক্তিকে ঘিরে সারা দিন জুড়ে বিতর্ক ও জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মুখ খুললেন নিউটন দাস। সকালে তাঁর দাদা তপন দাস (Bangladeshi) সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, নিউটনের জন্ম ও বড় হওয়া বাংলাদেশে। তাই তাঁর ওপার বাংলার ভোটার হওয়াটাই স্বাভাবিক। এই মন্তব্য ঘিরে সকাল থেকেই শুরু হয় চাঞ্চল্য। অভিযোগ ওঠে, নিউটন আসলে বাংলাদেশি (Bangladeshi) নাগরিক, অথচ তাঁর নাম কাকদ্বীপের ভোটার তালিকায়। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতে থাকে কিছু ছবি, যাতে তাঁকে বাংলাদেশের গণআন্দোলনে অংশ নিতে দেখা যায়।
তবে বিকেলের পর থেকে পাল্টে যায় পরিস্থিতি। সোজাসাপ্টা দাবি করে নিউটন বলেন, তিনি কাকদ্বীপেরই স্থায়ী বাসিন্দা ও বৈধ ভারতীয় নাগরিক (Bangladeshi)। তাঁর বক্তব্য, গত বছর তিনি পৈতৃক সম্পত্তির খোঁজে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। সে সময় তিনি হঠাৎ করে বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক আন্দোলনের মধ্যে পড়ে যান, যা নিয়ে এখন গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
নিউটনের আরও দাবি, “আমি ২০১৪ সাল থেকেই কাকদ্বীপের ভোটার। ২০১৬ সালে তৃণমূল প্রার্থী মন্টুরাম পাখিরাকে ভোট দিয়েছিলাম। এরপর ২০১৭ সালে আমার ভোটার কার্ড হারিয়ে যায়। পরে ২০১৮ সালে ফের নতুন করে কার্ড তৈরি করি বিধায়কের সহযোগিতায়।” তিনি স্পষ্ট জানান, তাঁকে নিয়ে যে সমস্ত তথ্য ছড়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং চক্রান্তমূলক ।
এই ঘটনার জেরে রাজনৈতিক মহলেও তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। প্রশাসনও বিষয়টির দিকে নজর রেখেছে বলে জানা গেছে।