Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • “মসজিদের নামে চলত জঙ্গি কারখানা”—ভারতের এয়ারস্ট্রাইকে গুঁড়িয়ে গেল আস্তানার মুখোশ!
বিদেশ

“মসজিদের নামে চলত জঙ্গি কারখানা”—ভারতের এয়ারস্ট্রাইকে গুঁড়িয়ে গেল আস্তানার মুখোশ!

Email :9

পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের ( Jaish-e-Mohammed ) সদর দফতর, যা ‘জামিয়া মসজিদ সুবহান আল্লাহ’ নামের ছদ্মবেশে চলছিল, সেটিকে গুগল ম্যাপে এখন “চিরতরে বন্ধ” বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। মে মাসের শুরুতে ভারতীয় সেনার টার্গেটেড এয়ারস্ট্রাইকের পর এই বদল এসেছে।

এই ভবনটি (Jaish-e-Mohammed) পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুরে অবস্থিত, যা ভারতের সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ কিমি দূরে। ৭ মে শুরু হওয়া ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর সময় এই জইশ (Jaish-e-Mohammed) ঘাঁটিসহ মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। এই পদক্ষেপ ছিল ২২ এপ্রিল ফাহলগামে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ জঙ্গি হামলার (যেখানে ২৬ জন নিহত হয়) জবাব।

স্যাটেলাইট চিত্র ও হামলার পর পাওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ভবনটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত (Jaish-e-Mohammed)। ছাদের একাধিক অংশ ধসে পড়েছে, দেয়ালে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বাইরে থেকে এটি একটি মসজিদ মনে হলেও, এটি ছিল আসলে জইশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণ ও মগজধোলাই কেন্দ্র। এখান থেকেই জঙ্গি তৈরি, নিয়োগ ও অভিযানের পরিকল্পনা করা হতো।

গুগল ম্যাপসহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এখন ভবনটিকে “Permanently Closed” বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, যা সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী অকার্যকারিতা বা বিশ্বস্ত সূত্রে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট পাওয়ার পরই দেওয়া হয়।

জইশ-ই-মহম্মদের (Jaish-e-Mohammed) নেতা মাসুদ আজহার একজন রাষ্ট্রসংঘ-ঘোষিত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী। তার সংগঠন এর আগেও একাধিক বড়সড় হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল— যেমন ২০০১ সালের সংসদ হামলা, ২০১৬ সালের পাঠানকোট এয়ারবেস হামলা এবং ২০১৯ সালের পুলওয়ামা আত্মঘাতী বিস্ফোরণ যেখানে ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন।

এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের আরও আটটি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়: মুরিদকেতে ‘মারকাজ তাইবা’ (লস্কর), সিয়ালকোটে ‘সারজাল ক্যাম্প’ ও ‘মেহমুনা জোয়া ক্যাম্প’ (হিজবুল মুজাহিদিন), কোটলিতে ‘আব্বাস ক্যাম্প’ ও ‘গুলপুর ক্যাম্প’ (লস্কর), এবং মুজাফ্‌ফরাবাদে ‘সৈয়দনা বিলাল ক্যাম্প’ (জইশ) ও ‘সাওয়াই নালা ক্যাম্প’ (লস্কর)।

ভারতের এই স্ট্রাইক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর পরিকাঠামোয় বড় ধাক্কা দিয়েছে। একে সুনির্দিষ্ট ও কৌশলী জবাব হিসেবেই দেখছে কূটনৈতিক মহল— সীমান্তপারের সন্ত্রাসকে রাষ্ট্রীয় মদতে চলতে দেওয়া হবে না, তা ভারতের তরফে স্পষ্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts