৪০ বছর বয়সেও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (Cristiano Ronaldo) যেন সময়কে থামিয়ে রেখেছেন। বুধবার মিউনিখে জার্মানির বিরুদ্ধে UEFA Nations League সেমিফাইনালে তার গোলেই পর্তুগাল ২-১ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিল (Cristiano Ronaldo) । এই জয়ের মাধ্যমে শুধু ফাইনালে উঠল না পর্তুগাল, ভাঙল ২৫ বছর ধরে চলা হতাশার রেকর্ডও।
এই প্রথমবার, রোনালদো (Cristiano Ronaldo) জার্মানির বিরুদ্ধে জয়ের স্বাদ পেলেন। এর আগে পাঁচবার খেলেছেন, এবং প্রতিবারই হেরেছেন। পর্তুগালও ২০০০ সালের ইউরোর পর এই প্রথম জার্মানিকে হারাল। এতদিনে শেষ হলো সেই দীর্ঘ অপেক্ষা।
ম্যাচে প্রথম গোল করেন জার্মানির তরুণ মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান ভির্টজ, ম্যাচের ৪৮তম মিনিটে। কিন্তু ৬৩তম মিনিটে ফ্রান্সিসকো কনসেইসাও গোল করে সমতা ফেরান। ঠিক তার পাঁচ মিনিট পরেই আসে ম্যাজিকাল মুহূর্ত—৬৮তম মিনিটে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর (Cristiano Ronaldo) নিখুঁত ফিনিশে গোল, যা পর্তুগালকে এগিয়ে দেয় এবং শেষ পর্যন্ত জয়ের মুখ দেখায়।
এই গোলটি ছিল রোনালদোর (Cristiano Ronaldo) ১৩৭তম আন্তর্জাতিক গোল, এবং সকল প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৯৩৭তম গোল! এই পরিসংখ্যান নিজেই বলে দেয়, কেন রোনালদোকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার ধরা হয়।
রোনালদোর (Cristiano Ronaldo) এই অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেছেন জার্মান ফুটবল কিংবদন্তি জার্গেন ক্লিন্সমান। তিনি বলেন,“এই বয়সে এমন খেলা, এটা এক কথায় অসাধারণ। মনে হয় না রোনালদোর (Cristiano Ronaldo) বয়স বাড়ছে। সে শুধু গোল করেই থেমে যায়নি, গোটা ম্যাচে নিজের দলকে সাহায্য করেছে, বারবার নিচে নেমে বল কন্ট্রোল করেছে, সবার সঙ্গে লিংক তৈরি করেছে। এটা একজন সত্যিকারের লিডারের পরিচয়। সে এখনও বিশ্বসেরা ফিনিশারদের একজন। যদি এমন পারফরম্যান্স সে ধরে রাখতে পারে, তবে আগামী বছর আমেরিকা, কানাডা এবং মেক্সিকোতে আয়োজিত বিশ্বকাপেও সে দলে থাকতে পারে। মেসির মতো রোনালদোও হয়তো ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে বড় সাফল্য পেতে চলেছেন।”
পর্তুগাল কোচ রবার্তো মার্টিনেজ ম্যাচশেষে বলেন, “এই জয় ঐতিহাসিক। ২৫ বছর পর জার্মানির বিরুদ্ধে জয়, সেটাও সেমিফাইনালের মঞ্চে—এই জয় শুধু রোনালদোর (Cristiano Ronaldo) নয়, পুরো দলের। তবে বিশেষভাবে বলতেই হয়, ভিটিনহা এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার। সে পিএসজির হয়ে দুর্দান্ত সিজন কাটিয়েছে। আমি মনে করি, তার কার্যকারিতা এবং খেলার ধরন অনুযায়ী, এ বছর ব্যালন ডি’অর তারই প্রাপ্য।”
রোনালদোর বয়স ৪০ হলেও তার খেলার ধার একটুও কমেনি। এই পারফরম্যান্স আরও একবার প্রমাণ করল, তার ক্যারিয়ার এখনও শেষ হয়নি। বরং তিনি এখনও বড় ম্যাচে দলের জন্য জেতাতে পারেন, ঠিক যেমনটা তিনি করেছেন বারবার।
