ইংল্যান্ড সফরের জন্য ভারতীয় টেস্ট দল শনিবার (২৪ মে) ঘোষণা করেছে বিসিসিআই (Safarraj Khan)। পাঁচ ম্যাচের এই গুরুত্বপূর্ণ সফরের জন্য অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন শুভমন গিল। তিনি ভারতের টেস্ট ইতিহাসে ৩৭তম অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন। সহ-অধিনায়ক হিসেবে থাকবেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্ত, যিনি দীর্ঘদিন পর চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন।
তবে এই দল নির্বাচন ঘিরে তৈরি হয়েছে বড় বিতর্ক। দলে জায়গা পাননি তরুণ ব্যাটসম্যান সরফরাজ খান (Safarraj Khan), যিনি সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন এবং ধারাবাহিকভাবে ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করে আসছেন। অস্ট্রেলিয়া সফরের দলে থাকলেও একটিও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তিনি। এবার ইংল্যান্ড সফর থেকেও বাদ পড়ায় প্রশ্ন উঠছে—তাঁকে (Safarraj Khan) উদ্দেশ্যমূলকভাবে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে কি না।
একটি মিডিয়া প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের শোচনীয় পারফরম্যান্সের পর যে পর্যালোচনা সভা হয়েছিল, সেখানে প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর সরফরাজ খান এবং সহকারী কোচ অভিষেক নায়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। বলা হয়, ড্রেসিং রুমের ভিতরের খবর নাকি বাইরে ফাঁস করতেন তারা। সেই ঘটনার পর কয়েক মাসের মধ্যেই অভিষেক নায়ারকে কোচিং স্টাফ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এখন ধারণা করা হচ্ছে, সরফরাজের দল থেকে বাদ পড়ার পেছনেও একই অভিযোগ কাজ করেছে।
যদিও প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর সংবাদ সম্মেলনে সরফরাজ প্রসঙ্গে ভিন্ন ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, “বিরাট কোহলির অবসরের পর আমরা মিডল অর্ডারে একজন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান খুঁজছিলাম। করুণ নায়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলেছে এবং তার ইংল্যান্ডে কাউন্টি খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই আমরা ওকে বেছে নিয়েছি। সরফরাজ এখনও আন্তর্জাতিক স্তরে মাত্র ৬টি টেস্ট খেলেছে, তার মধ্যে একটি সেঞ্চুরি করলেও ধারাবাহিকতা ছিল না।”
আগরকর আরও বলেন, “কখনও কখনও দলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সরফরাজ অবশ্যই প্রতিভাবান, তাই তাকে ‘এ’ দলে রাখা হয়েছে। ভবিষ্যতে সুযোগ পাবে সে।”
তবে ক্রিকেটমহলে জোর গুঞ্জন, শুধুমাত্র ক্রিকেটীয় কারণেই সরফরাজকে বাদ দেওয়া হয়েছে কিনা, তা নিয়ে বিস্তর সন্দেহ রয়েছে। অনেকে মনে করছেন, দলীয় রাজনীতি এবং কোচের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়াই তার ক্যারিয়ারে প্রভাব ফেলছে।
