কলকাতা মেট্রো নিয়ে জট এখনও কাটছে না। অরেঞ্জ লাইনের চিংড়িঘাটা এলাকার ৩৬৬ মিটার অংশে কাজ আটকে থাকায় পরিষেবা চালু করা যাচ্ছে না। এই অংশ জোড়ার জন্য রাস্তা কিছু সময় বন্ধ করতে হবে, আর তাতেই সাধারণ মানুষের অসুবিধা হবে—এ যুক্তি দেখিয়েই রাজ্য কাজের অনুমতি দিচ্ছে না (Calcutta High Court)।
বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) সুজয় পাল রাজ্য সরকারকে পরিষ্কার বার্তা দেন। তিনি বলেন, যদি কোভিড আর ফিরে না আসে, তাহলে কলকাতায় রাস্তায় গাড়ির চাপ কোনওদিনই কমবে না। তাই খোলা মনে আলোচনায় বসে সমাধান খুঁজতে হবে। রাজ্যের তরফে বলা হয়, সাবওয়ের কাজ না হলে মানুষ সমস্যায় পড়বেন। বিচারপতির মন্তব্য—কোনও না কোনওদিন তো কাজ করতেই হবে, সেদিন যান নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে।
বুধবার কেন্দ্র, রাজ্য ও আরভিএনএল-এর আধিকারিকদের বৈঠক হয়। সেখানে কেন্দ্র আরভিএনএল-কে জানিয়েছে, রাজ্য যে শর্ত দিয়েছে, আগে তা মানতে হবে। বৃহস্পতিবার আদালতে (Calcutta High Court) এই তথ্য জানান অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। তিনি জানান, পরের বৈঠকে নিজেও উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান বেরোয়নি, ফলে মেট্রোর কাজ আটকে আছে আগের মতোই।
সম্প্রতি সংসদেও এই বিষয়টি তোলা হয়। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মেট্রোর অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন করলে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সরাসরি রাজ্য সরকারকেই দোষারোপ করেন। তাঁর দাবি, রাজ্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দিলেই চিংড়িঘাটার কাজ রাতের আট ঘণ্টা করে মাত্র তিন দিনেই শেষ করা সম্ভব।









