নদিয়ার কৃষ্ণনগরে বৃহস্পতিবারের জনসভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata banerjee)। তাঁর অভিযোগ, বাংলায় জোর করে নিরামিষ খাদ্যাভ্যাস চাপিয়ে দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। এ দিন সভা থেকে তিনি বলেন, বাঙালির উপর নিরামিষ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে, মানুষকে মাছ-মাংস খেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
চিকেন প্যাটিস বিক্রেতাকে মারধরের ঘটনাও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata banerjee)। রবিবার ময়দানে গীতাপাঠ অনুষ্ঠানের দিন এক প্যাটিস বিক্রেতাকে কিছু হিন্দুত্ববাদী বলয়ে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। বিক্রেতার বাক্সে থাকা প্যাটিসও ফেলে দেওয়া হয়। সেই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের ও গ্রেফতারির প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, “একজন হকার নিজের মতো জিনিস বিক্রি করছিল। তাঁকে মারধর করা হয়েছে। আমি সব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করিয়েছি। এটা বাংলা, উত্তর প্রদেশ নয়।”
সভামঞ্চ থেকেই তিনি (Mamata banerjee) প্রশ্ন তোলেন, বিজেপিকে ভোট দিলে কীভাবে মানুষ নিজের পছন্দের খাবারও খেতে পারবেন? তাঁর কথায়, “বিজেপিকে ভোট দেবেন? ওরা মাছ-মাংস খেতে দেয় না। নিরামিষ চাপিয়ে দেয়।”
এসআইআর নিয়েও এ দিন সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ করেন, কমিশনের পর্যবেক্ষকরা “বিজেপি-ধাঁচের লোক”, যাঁদের দিল্লি থেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁর দাবি, ভোটার তালিকা থেকে দেড় কোটি নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। মমতা বলেন, “বাংলা কারও নাম বাদ দিতে দেবে না।”
তিনি (Mamata banerjee) আরও অভিযোগ করেন, ঠাকুরদা-ঠাকুমার নাম দেওয়া থাকলে শুনানিতে ডেকে ভোটারদের নাম কেটে দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে। তবে আশ্বস্ত করে মমতা জানান, “শুনানিতে যাবেন, লড়াই করবেন। সরকার ‘মে আই হেল্প ইউ’ তৈরি করেছে। পার্টির লোকেরাও পাশে থাকবে।”












