বসিরহাট আদালতে শাহজাহান শেখের (Sandeshkhali) বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিলেন সন্দেশখালির বাসিন্দা ভোলানাথ ঘোষ। তাঁর গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারে একটি লরি। ঘটনাস্থলেই মারা যান ভোলানাথের ছোট ছেলে সত্যজিৎ ঘোষ। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন ভোলানাথ (Sandeshkhali)।
এই ঘটনার পরই ফেটে পড়েছেন ভোলানাথের (Sandeshkhali) বড় ছেলে বিশ্বজিৎ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, এটি কোনও সাধারণ দুর্ঘটনা নয়। পরিকল্পিত খুন। তিনি দাবি করেছেন, জেলে বসেই শাহজাহান ন্যাজাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সবিতা রায় এবং মোসলেম শেখের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন। বিশ্বজিতের কথায়, এরা এখন মিলেই সন্দেশখালিতে র্যাকেট চালাচ্ছে (Sandeshkhali)।
বিশ্বজিতের আরও দাবি, যে লরি তাঁদের ধাক্কা মেরেছিল তার ড্রাইভারের নাম আলিম। লরিটি নাকি লাউখালি এলাকার। তিনি বলেন, “গাড়িটা আগে থেকেই আমাদের পিছনে ছিল। দু’বার পাশ থেকে ধাক্কা দেয়। তৃতীয় বার জোরে ধাক্কা মেরে গাড়িটাকে জলে ফেলে দেয়। এটা একশো শতাংশ খুন। শাহজাহানের ইন্ধনেই সবিতা আর মোসলেম এই ঘটনা করিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “শাহজাহান জেলে বসেই ফোনে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে। এর আগেও অভিযোগ উঠেছিল।”
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোসলেম শেখ। তাঁর দাবি, পুরো ঘটনাই মিথ্যে। সবিতা রায়ও বলেছেন, “ওদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। দুর্ঘটনা অবশ্যই দুঃখজনক। পুলিশ তদন্ত করবে। আমি নিজেই দু’বার ওদের বাড়িতে গিয়েছি।”
এদিকে মঙ্গলবার সন্দেশখালির সরবেড়িয়া এলাকার মণ্ডল পরিবারও মোসলেম শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল। তাঁদের দাবি, আদালত যে জমিটি মণ্ডল পরিবারের নামে রায় দিয়েছে, সেখানে শাহজাহানের বাজার ছিল। সেই জমি নিয়ে এখন মোসলেমের অনুগামীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাঁদের হুমকি দিচ্ছে।






