Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • জেলা
  • কোর্টে যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কা—শাহজাহান মামলার সাক্ষীকে কি টার্গেট করা হয়েছিল?
Important

কোর্টে যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কা—শাহজাহান মামলার সাক্ষীকে কি টার্গেট করা হয়েছিল?

shahjan witness
Email :3

সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনার পর থেকেই বিরোধীরা অভিযোগ করছিল, জেলে বসেও এলাকায় নিজের দাপট বজায় রাখছেন শেখ শাহজাহান। এই অভিযোগের মধ্যেই বড় ঘটনা ঘটল বুধবার সকালে। শাহজাহানের মামলার অন্যতম সাক্ষী ভোলা ঘোষ গুরুতর দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর ছোট ছেলে সত্যজিৎ ঘোষ এবং গাড়ির চালক শাহানুরের (Sandeshkhali)। ভোলা ঘোষ আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। তবে এই ঘটনাটি সত্যিই দুর্ঘটনা, নাকি এর পিছনে কোনও পরিকল্পিত ছক রয়েছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। বিজেপি সরাসরি অভিযোগ তুলছে, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো হয়েছে।

জানা গিয়েছে, বুধবার ছিল শেখ শাহজাহানের একটি মামলার শুনানি (Sandeshkhali)। সেই মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন ভোলা। আদালতে যাওয়ার সময় ন্যাজোটের কাছে বয়ারমারি পেট্রোল পাম্পের সামনে হঠাৎই একটি ট্রাক ভোলার গাড়িকে সজোরে ধাক্কা মারে (Sandeshkhali)। ধাক্কায় গাড়িটি পাশের জলে ডুবে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সত্যজিৎ এবং চালক শাহানুরের। গুরুতর জখম হন ভোলা। তিনি এখনও জানেন না যে তাঁর ছেলে আর জীবিত নেই।

ঘটনার পরে বিজেপি দাবি তুলেছে, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়। তাঁদের প্রশ্ন, ট্রাক চালক কীভাবে ধাক্কা মেরে মুহূর্তে বাইকে চেপে পালিয়ে গেল? সেই বাইকই বা এল কোথা থেকে? বিজেপির বক্তব্য, সবটাই পরিকল্পিত।

এক বিজেপি নেত্রী বলেন, “ভোলা শাহজাহানের মামলার সাক্ষী। আজই তাঁর কোর্টে যাওয়ার কথা ছিল। তাই প্রিপ্ল্যান করে তাঁকে মারার চেষ্টা করা হয়েছে। তাঁর ছেলে ও চালক মারা গিয়েছেন। যে লরি দিয়ে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে, তার কাগজপত্র দেড় বছর ধরে ঠিক ছিল না। আর আজকেই নাকি ইএমআই-এর তারিখ ছিল!”

ভোলা বলেন, “বয়ারমারি পেরিয়ে যাচ্ছিলাম। লরিটা সামনে ছিল। হঠাৎই সোজা এসে আমাদের গাড়িতে ধাক্কা মারে। তারপর গাড়ি জলে পড়ে যায়। আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।”

ভোলা ইডি মামলাতেও সাক্ষী। আগে তিনি শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন, পরে নানা অনৈতিক কাজ নিয়ে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। ভোলার অভিযোগ, শাহজাহানের লোকজন তাঁর বাড়ি ভাঙচুরও করেছিল। শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পরই ভোলা এলাকায় ফিরেছিলেন। সাধারণত তিনি গাড়ির সামনে বসেন, কিন্তু সেদিন পিছনে বসেছিলেন। আর সেই কারণেই বেঁচে গেলেন—এমনটাই বলছেন স্থানীয়রা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts