ভরতপুরের বরখাস্ত তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir) ফের বড়সড় রাজনৈতিক চাঞ্চল্য তৈরি করলেন। তাঁর দাবি, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বা বিজেপি—কেউই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। এমনকি যে-ই মুখ্যমন্ত্রী হোন না কেন, তাঁকেও নাকি হুমায়ুনের (Humayun Kabir) সাহায্য নিতে হবে। তাঁর কথায়, “আমাকে ছাড়া কেউ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারবেন না।”
হুমায়ুন (Humayun Kabir) অনেক দিন ধরেই দাবি করে আসছেন যে তিনি ১৩৫টি আসনে প্রার্থী দেবেন। এবার তিনি স্পষ্ট বললেন, তাঁর লক্ষ্য অন্তত ৯০টি আসন জেতা। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, তাঁর এই ঘোষণা স্পষ্ট বার্তা—মুর্শিদাবাদে ভোট কাটাকাটির রাজনীতি আরও তীব্র হতে চলেছে।
তৃণমূল বারবার অভিযোগ করছে, হুমায়ুনকে (Humayun Kabir) বিজেপি দিয়ে চালানো হচ্ছে। সে প্রসঙ্গে তিনি শুধু বলেন, “আমি কার হয়ে খেলতে নেমেছি, সময়ই বলবে।” তবে মিমের সঙ্গে জোটের কথা তিনি খোলাখুলি জানিয়ে দিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে তাঁর ক্ষোভ ঝরে পড়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বলেন, “কংগ্রেস এখন সাইনবোর্ড। ২০২৬-এ ওদের চিহ্নই থাকবে না। মিম যদি আমার সঙ্গে থাকে, কংগ্রেস থাকুক বা না থাকুক—আমি মিমের সঙ্গেই থাকব।”
তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলে ফিরে এসে তিনি (Humayun Kabir) অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। বলেন, “তৃণমূল থেকে বারবার বার্তা এসেছে। কিন্তু আর ফেরার প্রশ্ন নেই। ওরা আমাকে যেভাবে হেনস্থা করেছে, তার প্রয়োজন ছিল না।”
রাজনৈতিক দিক থেকে হুমায়ুনের অতীতও কম বিতর্কিত নয়। কখনও বিজেপিতে যোগ, কখনও তৃণমূলে ফেরা—সব মিলিয়ে তাঁকে ঘিরে জল্পনা সব সময় তুঙ্গে থাকে। এবার ‘বাবরি’ ভিত্তিপ্রস্তর বিতর্কেই আতঙ্ক বাড়িয়েছে শাসকদলের। শোনা যাচ্ছে, তিনি ভিন রাজ্য থেকে প্রাণনাশের হুমকিও পাচ্ছেন। যদিও কেন্দ্র নাকি তাঁকে নিরাপত্তা দিতে চেয়েছে, তিনি তা স্বীকার করেননি—তৃণমূলের অভিযোগকে আরও পুষ্ট করতে চান না বলেই।
সবশেষে হুমায়ুন দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, “আমি ১৩৫টি আসনে প্রার্থী দেব। তার মধ্যে ৮০টি আসন আমি জিতব। এবং বিরোধী দলে বসব—এটাই আমার লক্ষ্য।”











