Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • “বিএলও-কে রাতেই জবাই করব”—ভয়ঙ্কর ফোনকল! সন্দেশখালিতে গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী
জেলা

“বিএলও-কে রাতেই জবাই করব”—ভয়ঙ্কর ফোনকল! সন্দেশখালিতে গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী

arrested 1
Email :10

সন্দেশখালিতে ফের রাজনৈতিক উত্তেজনা। এক বিএলও-কে ফোনে ভয় দেখানোর অভিযোগে গ্রেফতার হলেন তৃণমূল কর্মী জামিরুল ইসলাম (TMC Leader)। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এসআইআরের কাজের চাপের মাঝেই বিএলও দীপক মাহাতোর কাছে একটি ফর্ম নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। ফর্মের ভুল সংশোধন করতে তিনি স্থানীয় তৃণমূল কর্মী জামিরুলকে ডেকেছিলেন (TMC Leader)। তদন্তে জানা গিয়েছে, সেই কথা বলতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন জামিরুল। অভিযোগ, এরপরেই তিনি দীপককে ফোন করে অশ্রাব্য গালিগালাজ শুরু করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।

একটি অডিয়ো ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়—“তোর ঘরবাড়ি ভেঙে দেব। ঠিক করে সংশোধন কর। নাহলে আজ রাতেই তোকে জবাই করে দেব।” যদিও অডিয়োটির সত্যতা টিভি৯ বাংলা যাচাই করেনি, তবে বিএলও দীপক মাহাতো বিষয়টি সরাসরি বিডিও-কে জানান (TMC Leader)। প্রশাসন অভিযোগ পেয়েই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। সন্দেশখালি থানার পুলিশ শনিবার রাতেই জামিরুল ইসলাম মোল্লাকে গ্রেফতার করে। রবিবার তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে (TMC Leader)।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। বসিরহাট জেলা বিজেপির যুব সভাপতি পলাশ সরকার এ নিয়ে সরব হয়ে বলেন, “এসআইআরের কাজ এগোচ্ছে দেখে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। তাই নানা জায়গায় বিএলও-দের ভয় দেখানো হচ্ছে। এতগুলো বিএলও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন—এর জন্য শাসক দলেরই চাপ দায়ী।” তাঁর দাবি, তৃণমূল সরকারিভাবে ও দলীয়ভাবে এসআইআর-এর কাজ বাধাগ্রস্ত করছে।

তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তৃণমূলের বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক বুলবুল রহমান বলেন, “বিএলওদের মধ্যে কেউ কেউ অতি-সক্রিয় হয়ে পড়ছেন। দল কারও উপর কোনও চাপ দিচ্ছে না। পুলিশ যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তা তাদের তদন্ত অনুযায়ী।”

এসআইআরের কাজ যত এগোচ্ছে, ততই রাজ্যজুড়ে চাপ, মানসিক অবসাদ, হুমকি-ধমকি ও উত্তেজনার ঘটনা সামনে আসছে। সন্দেশখালির নতুন এই বিতর্ক আবারও প্রমাণ করল—বুথস্তরের কাজের উপরে রাজনৈতিক দখলদারি কতটা ভয়াবহ হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts