Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • জেলা
  • ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’! বিপদে বঙ্গ, অন্ধ্র উপকূলে ভয়াল ল্যান্ডফল— বৃষ্টির ছোঁয়ায় ভিজবে জগদ্ধাত্রী পুজো
দেশ

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’! বিপদে বঙ্গ, অন্ধ্র উপকূলে ভয়াল ল্যান্ডফল— বৃষ্টির ছোঁয়ায় ভিজবে জগদ্ধাত্রী পুজো

cyclone montha
Email :4

বঙ্গোপসাগরের উপর চোখ রাঙাচ্ছে নতুন ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ (Cyclone Montha)। শক্তি সঞ্চয় করে ইতিমধ্যেই অতি গভীর নিম্নচাপ থেকে ভয়াল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে এই মন্থা। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেল বা রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের কাঁকিনাড়া উপকূলে এর ল্যান্ডফল হবে (Cyclone Montha)। ল্যান্ডফলের সময় ঘণ্টায় প্রায় ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। বিশাখাপত্তনম থেকে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র। আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই এটি উপকূলের কাছাকাছি চলে আসবে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর (Cyclone Montha)।

এই ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি আঘাত পড়বে অন্ধ্রপ্রদেশে, তবে এর প্রভাব থেকে রেহাই পাচ্ছে না ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গও। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বাংলার উত্তর ও দক্ষিণ দু’ জেলাতেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে (Cyclone Montha)। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে বইবে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া। উপকূল সংলগ্ন এলাকায় ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে ‘হলুদ সতর্কতা’।

সবচেয়ে বেশি চিন্তা উপকূলের মানুষ ও কৃষকদের (Cyclone Montha)। কারণ, এই সময়েই মাঠে পাকা ধান ও শীতকালীন ফসল দাঁড়িয়ে। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ফসলের বড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কৃষকদের দ্রুত পাকা ফসল কেটে ফেলার পরামর্শ দিয়েছে মৌসম ভবন।

মৎস্যজীবীদের জন্য জারি হয়েছে কড়া সতর্কতা (Cyclone Montha)। আজ থেকেই উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে সমুদ্রে নামা পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২৭ তারিখের মধ্যে গভীর সমুদ্র থেকে ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে উপকূলীয় জেলার মৎস্যজীবীদের।

অন্যদিকে, কলকাতার আবহাওয়া এখনও বেশ আরামদায়ক। আজকের দিনভর আকাশ থাকবে রোদেলা, তবে দুপুরের পর আংশিক মেঘলা হতে পারে। সোমবার রাত থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরু হবে। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার বা বৃহস্পতিবার শহরে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। সঙ্গে বইবে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগের ঝোড়ো হাওয়া।

আজ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩২ ডিগ্রির কাছাকাছি, সর্বনিম্ন ২৪ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৬৮ থেকে ১০০ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।

দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও মঙ্গলবার থেকে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির পূর্বাভাস। হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, এবং দুই মেদিনীপুরে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি আরও বাড়বে। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া, বীরভূম, বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। শুক্রবারেও উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি চলবে, তবে শনিবার থেকে আবহাওয়া ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছে মৌসম ভবন।

উত্তরবঙ্গে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির সূচনা। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। বুধবার ও বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে মালদা, উত্তর দিনাজপুর এবং জলপাইগুড়িতে। শুক্রবারে উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ভারী বৃষ্টি হবে, সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগের দমকা হাওয়া।

জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় এমন ঘূর্ণিঝড়ের আগমন গোটা রাজ্যেই চিন্তার আবহ তৈরি করেছে। কলকাতা থেকে কৃষ্ণনগর— সর্বত্রই এখন একটাই প্রশ্ন, “মন্থা কি ভাসাবে পুজোর আনন্দ?” আবহাওয়া দফতর বলছে, আপাতত প্রস্তুত থাকতে হবে। মন্থার গতিবিধি এখনও নজরে রাখা হচ্ছে প্রতি ঘণ্টায়। যতই এগিয়ে আসছে, ততই শঙ্কার মেঘ ঘন হচ্ছে বাংলার আকাশে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts