Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • দিল্লি এখন ‘গ্যাস চেম্বার’! দীপাবলির ধোঁয়ায় ঢেকে রাজধানী, AQI ছুঁল ৪৩৩ — বিষবায়ুতে শ্বাস নিতে হিমশিম নাগরিকদের
দেশ

দিল্লি এখন ‘গ্যাস চেম্বার’! দীপাবলির ধোঁয়ায় ঢেকে রাজধানী, AQI ছুঁল ৪৩৩ — বিষবায়ুতে শ্বাস নিতে হিমশিম নাগরিকদের

delhi pollution
Email :3

দিল্লি যেন আজ সত্যিই এক ‘গ্যাস চেম্বার’ (Delhi Pollution)। শ্বাস নিতে কষ্ট, রাস্তায় বেরোলেই চোখে জ্বালা— এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দিন কাটাচ্ছেন রাজধানীর বাসিন্দারা। দীপাবলির আগে থেকেই বাতাসের মান ছিল উদ্বেগজনক, আর উৎসবের রাতেই তা পৌঁছে গেল ভয়ঙ্কর মাত্রায়। বাজি পোড়ানোর ধোঁয়া, আবহাওয়ার স্থিরতা আর যানবাহনের ধোঁয়ার মিশ্রণে গোটা শহর ঢেকে গিয়েছে ঘন ধোঁয়াশায় (Delhi Pollution)।

কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের মাপকাঠি অনুযায়ী, AQI যদি ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তা ‘ভাল’। ৫১ থেকে ১০০ ‘মধ্যম’, ১০১ থেকে ২০০ ‘মাঝারি’, ২০১ থেকে ৩০০ ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০ ‘খুব খারাপ’ এবং ৪০০ ছাড়ালে ‘গুরুতর বিপজ্জনক’। সেই হিসেবেই দীপাবলির রাতে দিল্লির বাতাসের মান ভয়াবহভাবে বেড়ে গিয়ে ছুঁয়েছে ৪৩৩ একিউআই !

পরিসংখ্যান বলছে, গুরুগ্রামে (Delhi Pollution) বাতাসের মান ছিল ৪৩৩, অশোক বিহারে ৪২৭, ওয়াজিরপুরে ৪২৩ এবং আনন্দ বিহারে ৪১০। অর্থাৎ, গোটা দিল্লি এনসিআর কার্যত বিষবায়ুর চাদরে মোড়া। ২১ থেকে ২৩ অক্টোবরের মধ্যেই আনন্দ বিহারে AQI ছিল ৩৮৫, ওয়াজিরপুরে ৩৬৬, অশোক বিহারে ৩৬৪। তার মধ্যে দীপাবলির রাতে দূষণের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে প্রায় দ্বিগুণ।

গুরুগ্রামের (Delhi Pollution) পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ— এক রিপোর্ট অনুযায়ী, সেখানে দূষণের মাত্রা বেড়েছে প্রায় ৭৩ শতাংশ। যমুনার জলে দেখা দিয়েছে বিষাক্ত ফেনা। ফলে একদিকে শ্বাস নেওয়ার জন্য যেমন কষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে পানীয় জলও হয়ে উঠছে বিপজ্জনক।

আবহবিদদের মতে, এবারের দীপাবলি পর্বে আবহাওয়ার তেমন কোনও পরিবর্তন হয়নি। তাই ধোঁয়া-ধুলোর মিশ্রণ আটকে পড়েছে শহরের উপরে। কোনও হাওয়া না বইলে এই ধোঁয়াশা আরও ঘন হয়ে জমে থাকে, আর সেটাই হচ্ছে দিল্লির বুকে।

পরিবেশবিদদের কণ্ঠে উদ্বেগ— “এটা শুধুই দীপাবলির প্রভাব নয়। বছরভর কারখানার নির্গমন, যানবাহনের ধোঁয়া, নির্মাণকাজের ধুলো আর নাগরিক অসচেতনতার ফলেই দিল্লির এই পরিণতি।” তাঁদের দাবি, প্রশাসনের উদ্যোগ থাকলেও বাস্তবে নাগরিক সচেতনতার অভাবেই দূষণ কমছে না।

রাজধানীর হাসপাতালগুলিতে ইতিমধ্যেই বেড়েছে শ্বাসকষ্ট ও চোখ জ্বালার রোগীর সংখ্যা। ডাক্তারদের সতর্কবার্তা— দীর্ঘদিন এই বায়ু শ্বাসের ফলে ফুসফুসে স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে, বিশেষ করে শিশু ও প্রবীণদের।

এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে— দীপাবলির আনন্দে মেতে ওঠার নাম করে কি রাজধানীকে আমরা মৃত্যুফাঁদে ঠেলে দিচ্ছি? রাজধানীর মানুষ আজ একটাই প্রার্থনা করছেন, “স্বচ্ছ বাতাসে শ্বাস নিতে চাই।”

দিল্লির আকাশে বিষবাষ্প জমে রয়েছে, মাটিতে জমছে ভয়। দীপাবলির আলোয় মিশে গেছে ধোঁয়ার ছায়া— রাজধানীর দীপাবলি উৎসব এখন ভয়াবহ দূষণের প্রতীকে পরিণত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts