রাজপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। অটোচালকের সঙ্গে বচসার জেরে আক্রান্ত হলেন (Rajpur Attack) এক কেন্দ্রীয় শুল্ক আধিকারিক। অভিযোগ, নিজের ফ্ল্যাটে ঢুকে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। মাথা ফেটে গিয়েছে কাস্টমস অফিসার প্রদীপ কুমারের। ঘটনাকে (Rajpur Attack) ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। আক্রান্ত আধিকারিক জানিয়েছেন, পুলিশকে ফোন করেও তৎক্ষণাত কোনও সাহায্য পাননি তিনি।
জিএসটি এবং কাস্টমস বিভাগের আধিকারিক প্রদীপ কুমার বহু বছর ধরে রাজপুরে নিজের ফ্ল্যাটে থাকেন (Rajpur Attack) । শনিবার সন্ধ্যায় অফিস শেষে তিনি রাজপুরের আবাসনে ফিরছিলেন। গেটের কাছাকাছি আসতেই একটি অটো তাঁর গাড়িতে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ (Rajpur Attack) । এর পরেই অটোচালকের সঙ্গে বচসা বাধে। কিন্তু তর্কাতর্কি এখানেই থেমে থাকেনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই অটোচালক দলবল নিয়ে ফিরে আসে।
আক্রান্ত আধিকারিকের (Rajpur Attack) অভিযোগ, “৫০-৬০ জন একসঙ্গে এসে আমার ফ্ল্যাটে চড়াও হয়। গেট ভেঙে, কোলাপসিবল ভেঙে ঢুকে পড়ে। আমার মাথায় লাঠি মারে, স্ত্রীকেও ধাক্কা দেয়। ঘরের সব জিনিসপত্র ভেঙে তছনছ করে।” প্রদীপ কুমারের (Rajpur Attack) কথায়, “মনে হচ্ছিল, আজই শেষ হয়ে যাব। আমি বারবার পুলিশকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু সোনারপুর থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাঁরা বিসর্জনের ডিউটিতে ব্যস্ত। তাই সঙ্গে সঙ্গে কাউকে পাঠানো সম্ভব নয়।”
আবাসনের সিসি ক্যামেরাতেও ধরা পড়েছে একদল দুষ্কৃতীর ফ্ল্যাটে ঢোকার দৃশ্য (Rajpur Attack) । নিরাপত্তারক্ষীরা গেট বন্ধ রাখলেও, তারা গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে লিফটে চড়ে চতুর্থ তলায় উঠে যায়। ফ্ল্যাটের ভিতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রদীপ কুমারকে পরে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রদীপ কুমার উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা, গত নয় বছর ধরে কলকাতায় কর্মরত (Rajpur Attack) । তিনি জানিয়েছেন, “আমি কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি করি, তবুও যদি নিজের বাড়িতে এমন হামলার শিকার হতে হয়, তবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?”
এই ঘটনায় সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকিদের খোঁজে চলছে অভিযান। আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার।
স্থানীয়দের প্রশ্ন, সামান্য ওভারটেক করা নিয়ে এমন ভয়ানক প্রতিশোধমূলক হামলা কীভাবে সম্ভব? এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, “প্রথমে আমরা বুঝতেই পারিনি কী হচ্ছে। হঠাৎই দেখি ৫০-৬০ জন এসে গেট ভেঙে ঢুকছে। এমন আতঙ্ক আগে দেখিনি।”
ঘটনাটি সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে প্রদীপ কুমারের বক্তব্য ও সিসিটিভি ফুটেজের কিছু অংশ। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, একজন কেন্দ্রীয় আধিকারিক যদি নিরাপত্তা না পান, তবে সাধারণ নাগরিকের অবস্থা কী হবে?
এদিকে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে, বাকি দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।











