কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের বড়সড় বিতর্ক। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন পরীক্ষা স্থগিত হবে না—এই সিদ্ধান্তের পরেই চরমে ওঠে অশান্তি। বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্তর ঘোষণার পর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অভিরূপ চক্রবর্তী প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দেন—“ইঞ্চি ইঞ্চি বুঝে নেব”। এরপর থেকেই চাপে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়। অবশেষে কঠোর পদক্ষেপ নিল কর্তৃপক্ষ। অভিরূপকে পুরো পাঁচ বছরের জন্য সেন্সর করা হলো (Calcutta University)।
শুধু তাই নয়, অভিরূপের প্রসঙ্গ টেনে এবার তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিলেন উপাচার্য (Calcutta University) শান্তা দত্ত। তাঁর বক্তব্য, “দিনের পর দিন গেল, কিন্তু দল থেকে কোনও সমালোচনা এল না, কোনও শাস্তি দেওয়া হল না। তাহলে আমাদেরই ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে।”
শান্তা দত্ত (Calcutta University) স্পষ্ট জানালেন, “অভিরূপকে পাঁচ বছরের জন্য সেন্সর করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে এমফিল বা পিএইচডি-সহ কোনও উচ্চশিক্ষার প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির জন্যও আবেদন করতে পারবে না।” অর্থাৎ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক কার্যকলাপ থেকে কার্যত বাদ দেওয়া হল তাঁকে।
এই ঘটনার আবহেই আরও এক নতুন বিতর্ক। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু কিছুদিন আগে মন্তব্য করেছিলেন, “উপাচার্য যদি সরকার বা দফতরের মুখাপেক্ষী হন, সেটাও খারাপ, আবার যদি আচার্যের হাতে বাঁধা টুনটুনি হয়ে যান, সেটাও স্বায়ত্তশাসনের জন্য ক্ষতিকর।” মন্ত্রীর এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শান্তা দত্ত। তিনি বলেছেন, “শিক্ষামন্ত্রী এমন আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করবেন, সেটা কল্পনাও করতে পারিনি। তাঁর মান এতটা নীচে নামতে পারে ভেবেও অবাক হয়েছি। যদি দল ওঁকে শাস্তি না দেয়, তাহলে আমাদেরই ব্যবস্থা নিতে হবে।”
অর্থাৎ, এবার শুধু ছাত্রনেতা নয়, শিক্ষামন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও সরাসরি ক্ষোভ উগরে দিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ফলে রাজনীতির ময়দানে শুরু হয়েছে নতুন চাপানউতোর।