উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুজাফ্ফরনগরে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনার মোড় বদলে গেল যখন একটি হোটেলের কর্মচারী, যাকে এতদিন ‘গোপাল’ নামে পরিচিত করা হচ্ছিল, প্রকাশ্যে জানালেন—তাঁর প্রকৃত নাম তজাম্মুল। তিনি (Uttar Pradesh) আরও বিস্ফোরক অভিযোগ এনে বলেন, চাকরি বাঁচাতে তাঁকে জোর করে ‘হিন্দু’ পরিচয়ে কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছিল।
তজাম্মুলের অভিযোগ, হোটেলের মালিক (Uttar Pradesh) নিজে তাঁকে বলেছিলেন যে, ‘গোপাল’ নাম ব্যবহার করতে হবে, নিজেকে একজন ব্রাহ্মণ পুরোহিতের ছেলে হিসেবে পরিচয় দিতে হবে, এমনকি ব্রাহ্মণদের চিহ্নিত করে এমন রুদ্রাক্ষের মালা ও হাতের ব্রেসলেট পর্যন্ত পরতে বাধ্য করা হয়েছিল। এই পুরো পরিচয় ছিল সাজানো এবং তাঁর নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে চাপিয়ে দেওয়া।
তাঁর কথায়, “আমি মুসলিম এই কারণে হোটেলের মালিক ভয় পেতেন, যেন কেউ আপত্তি না তোলে। তাই আমাকে হিন্দু সাজিয়ে রাখা হয়েছিল।”
ঘটনা আরও ভয়াবহ মোড় নেয় যখন একদল মানুষ (Uttar Pradesh) হোটেলে এসে নিজেদের ‘পরিচয় যাচাইকারী দল’ বলে দাবি করে। তজাম্মুল জানান, সেদিন তাঁর ও অন্যান্য কর্মীদের উপর শারীরিক নিগ্রহ চালানো হয়। কিন্তু যা এরপর ঘটে, তা যেন সভ্য সমাজের গায়ে কালি। তাঁর অভিযোগ—তাঁর ধর্ম যাচাই করার নামে তাঁর প্যান্ট পর্যন্ত খুলে দেখা হয়।
এই ঘটনায় স্তম্ভিত তজাম্মুল বলেন, “এটা শুধু মারধরের ঘটনা নয়, এটা সরাসরি মানবাধিকার লঙ্ঘন। আমার আত্মসম্মানে যে আঘাত লেগেছে, তার কোনও বিচার হবে কি?”
তাঁর এই বক্তব্য সামনে আসার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ধর্মীয় সম্প্রীতি ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় কড়া নজরে রয়েছে প্রশাসন। পুলিশ ইতিমধ্যে হোটেল মালিকের ভূমিকা তদন্ত করছে। জোর করে পরিচয় বদল করানো হয়েছে কি না, এবং যারা হোটেলে এসে তথাকথিত পরিচয় যাচাইয়ের নামে নিগ্রহ করেছে, তাদেরও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
এই ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে ধর্মীয় পরিচয় ঘিরে কাজের ক্ষেত্রের বৈষম্য এবং নিরাপত্তাহীনতা।