কালীগঞ্জে (Kaligang) উপনির্বাচনের দিন সকাল হতেই শুরু হয়ে যায় চরম উত্তেজনা ও অশান্তি। বিভিন্ন বুথ থেকে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ উঠে আসছে। বিরোধী দলের তরফে (Kaligang) অভিযোগ, বুথে তাঁদের এজেন্টদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না, বাধা দিচ্ছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে।
একের পর এক বুথে বিরোধীদের অভিযোগ জমা পড়তেই চাপে প্রশাসন। এরই মধ্যে ১৭৭ নম্বর বুথে ইভিএম খারাপ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন এক প্রাক্তন বাম বিধায়ক (Kaligang) । সকাল থেকেই ছড়িয়েছে বিক্ষিপ্ত অশান্তি, যার জেরে আতঙ্কিত অনেক ভোটারই। তবে সকাল সাড়ে সাতটার মধ্যেই ভোট দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী প্রয়াত বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদের কন্যা আলিফা আহমেদ এবং বিজেপি প্রার্থী আশিষ ঘোষ (Kaligang) ।
এই উপনির্বাচনের প্রেক্ষাপট যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। নাসিরুদ্দিন আহমেদের প্রয়াণে ফাঁকা হওয়া আসন দখলের লড়াই এখন সম্মান ও প্রভাবের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে তিন বড় শক্তির কাছে। একদিকে তৃণমূলের পক্ষে লড়ছেন প্রয়াত বিধায়কের মেয়ে নিজে, অন্যদিকে বিজেপির হয়ে প্রার্থী হয়েছেন দলটির ‘আদি’ নেতা আশিষ ঘোষ। অপরদিকে বামেদের সমর্থনে কংগ্রেস প্রার্থী কাবিলউদ্দিন আহমেদও মাঠে নেমেছেন শক্ত লড়াইয়ে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এই উপনির্বাচনের ফলাফল অনেকটাই ইঙ্গিত দেবে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সমীকরণে। তাই প্রতিটি ভোট এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে উত্তেজনার ছবি ধরা পড়েছে। কংগ্রেস ও বিজেপির এজেন্টদের বুথে বসতে দেওয়া হচ্ছে না—এমন অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধী জোট।
তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ অবশ্য নিজের ভোট দিয়ে স্পষ্ট জানান, “আমরা মাটি কামড়ে পড়ে আছি। নিজেদের মতো করে লড়ছি। ওরাও নিজেদের মতো করেই লড়ুক। মানুষ ভয় না পেয়ে এগিয়ে আসুন, ভোট দিন, গণতন্ত্রে বিশ্বাস রাখুন।”
এদিকে ভোটগ্রহণ এখনও চলছে। প্রশাসনের ওপর বাড়ছে চাপ, বাড়ছে জনতার কৌতূহল—এই অশান্তির মধ্যেই শেষ পর্যন্ত কী ফলাফল আসবে, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা রাজ্য।