এ যেন এক জীবন্ত অলৌকিকতা! ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার মধ্যে একমাত্র জীবিত অবস্থায় বেরিয়ে এলেন বিশ্বাস কুমার রমেশ নামে এক ব্রিটিশ ব্যবসায়ী (Plane Crash)। তাঁর কথায়, শুধু ভাগ্য নয়, দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং ঠিক সময়ে ঠিক জায়গা চেনার ক্ষমতাই তাঁকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছে (Plane Crash)।
লেস্টারের বাসিন্দা ৪০ বছরের বিশ্বাস কুমার রমেশ এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী একটি বিমানে ছিলেন। বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানটি আহমেদাবাদের বিখ্যাত বিজে মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলের আবাসিক এলাকায় ভেঙে পড়ে। বিমানে থাকা ২৪১ জন যাত্রী এবং কর্মী প্রাণ হারান। কেবলমাত্র বিশ্বাস বেঁচে যান (Plane Crash)।
তাঁর আসন ছিল ১১এ, যা বিমানের বাঁ দিকের জরুরি দরজার ঠিক পাশে ছিল। দুর্ঘটনার সময় বিমানের একটি অংশ হোস্টেলের নিচতলায় গিয়ে পড়ে। সেই অংশেই ছিলেন তিনি। রমেশ জানান, বিমানের দরজা ভেঙে গিয়েছিল, আর সেটাই ছিল তাঁর বেরিয়ে আসার রাস্তা।

তিনি (Plane Crash) বলেন, ‘‘আমি বুঝতে পারি দরজা ভাঙা, তখনই নিজেকে বলি, ‘আমি চেষ্টা করতে পারি বেরোনোর’। সিটবেল্ট খুলে, আমি নিজে থেকেই বেরিয়ে আসি।’’
ভাগ্যের জোরে তিনি পড়েন দুটি বিল্ডিংয়ের মাঝখানে থাকা একটি সরু ফাঁকা জায়গায়, যেখানে আলগা মাটি থাকায় তাঁর শরীরে গুরুতর আঘাত লাগেনি। যদিও আগুনে তাঁর বাঁ হাত পুড়ে যায়। আহত অবস্থাতেই তিনি হেঁটে বেরিয়ে আসেন এবং স্থানীয় এক বাসিন্দার মোবাইলে ধরা পড়ে সেই অবিশ্বাস্য মুহূর্তটি।
এই ভিডিও এখন ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বাস আরও বলেন, ‘‘আমার চোখের সামনেই মানুষ মারা যাচ্ছিল। আমি তখনও ভাবতে পারিনি যে বেঁচে ফিরতে পারব। একটা সময় মনে হয়েছিল আমি বুঝি মরে যাচ্ছি। কিন্তু হঠাৎ চোখ খোলে দেখি, আমি জীবিত।’’
দুর্ঘটনার পর তাঁকে আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁকে দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়, কারণ ওই একই বিমানে থাকা তাঁর ভাইয়ের শেষকৃত্যে যোগ দিতে চেয়েছিলেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় অন্তত ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে অনেকে হোস্টেলের বাসিন্দাও ছিলেন। মারা গিয়েছেন চারজন এমবিবিএস ছাত্র এবং এক চিকিৎসকের স্ত্রীও।