তিলোত্তমা ঘটনার পাশাপাশি ফের চাঞ্চল্য ছড়াল আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায়। মঙ্গলবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুরে গেল মোড়। আদালতে উপস্থিত হয়ে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত সোজা অভিযোগ তুললেন — আরজি কর হাসপাতালে বেআইনি কার্যকলাপের সূচনা হয়েছিল আখতার আলির আমল থেকেই, সন্দীপ ঘোষের আগে নয়!
সঞ্জয়বাবুর দাবি, যখন আখতার আলি ডেপুটি সুপারের পদে ছিলেন, তখন থেকেই হাসপাতালে শুরু হয়েছিল একাধিক দুর্নীতির ঘটনা। অথচ সেই আখতার আলিই তিলোত্তমা ঘটনার আগেই সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বারবার সরব হয়েছিলেন। সিবিআই যখন এই মামলার তদন্তে নামে, তখন একইসঙ্গে তদন্ত শুরু হয় আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির দিকেও। আর সেই মামলার শুনানিতেই সন্দীপের আইনজীবীর এই অভিযোগ কার্যত নতুন মোড় এনেছে (Sandeep Ghosh) ।
আদালতে প্রথম দিন স্বাক্ষী ছিলেন স্বাস্থ্য ভবনের এক উচ্চপদস্থ কর্তা। তাঁকেই জিজ্ঞাসা করা হয়, আখতার আলির সময় কি কোনও ডিপার্টমেন্টাল ইনকোয়ারি হয়েছিল? উত্তরে তিনি বলেন, “যতদূর মনে পড়ে, হ্যাঁ। বিষয়টি ভিজিলেন্স কমিশনে গিয়েছিল।”
এখানেই থেমে থাকেননি সন্দীপের আইনজীবী। আরও জানতে চান, আখতার আলির মদতেই কি আরজি করের বিভিন্ন হোস্টেলের ক্যান্টিনে ‘আনঅথরাইজড ভেন্ডর’ প্রবেশ পেয়েছিল? যদিও স্বাক্ষীর কৌশলী জবাব ছিল, এই বিষয়ে তিনি সুনির্দিষ্ট তথ্য জানেন না।
এই স্বাস্থ্যকর্তাই আগে টালা থানায় সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অথচ এবার আদালতে তিনিই আখতার আলির নাম জড়ানোয় উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
এদিকে, সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শুরুর আগেও সঞ্জয় দাশগুপ্ত প্রশ্ন তোলেন— কেন আখতার আলিকে সিবিআই সাক্ষীর তালিকায় রাখেনি? তাঁর দাবি, একজন যিনি দুর্নীতির প্রসঙ্গে এতটা সরব, তাঁর সাক্ষ্য না থাকা কি তদন্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করে না?