দক্ষিণ দিনাজপুরের গৃহবধূ ইতিকা মণ্ডলের রহস্যমৃত্যু নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। নিউটাউনের (Newtown) একটি গেস্ট হাউস থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধারের পরেই পুলিশ যে তদন্ত শুরু করেছিল, তাতে খুনের মোটিভ ঘিরে উঠে এসেছে ভয়ংকর মানসিক দ্বন্দ্ব, বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতিহিংসার চিত্র (Newtown)।
ঘটনার মূল অভিযুক্ত, ইতিকার স্বামী বিশ্বজিৎ মণ্ডলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানতে পারে, তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কে বহুদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছিল (Newtown)। দিল্লিতে শ্রমিকের কাজ করতেন বিশ্বজিৎ। দীর্ঘদিন আলাদা থাকার পর একদিন হঠাৎ খবর পান, তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি জানার পরেই তাঁদের সম্পর্কে ফাটল স্পষ্ট হয়ে ওঠে (Newtown)।
জানা গিয়েছে, বিশ্বজিৎ স্ত্রীকে বহুবার অনুরোধ করেন, সংসারে ফিরে আসার জন্য (Newtown)। কিন্তু তাতেও ইতিকা নিজের জীবনযাপন বন্ধ করেননি। উলটে তাঁর মোবাইলে একাধিক যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি দেখতে পান বিশ্বজিৎ। স্ত্রীর এই সম্পর্কগুলি মেনে নিতে পারেননি তিনি।
অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছে, এত কিছুর পরেও স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার শেষ চেষ্টা হিসেবে কলকাতায় নিয়ে আসেন তিনি। নিউটাউনের একটি গেস্ট হাউসে তাঁরা ওঠেন। সেখানেই সোমবার দুপুরে শেষ বচসা (Newtown)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অশান্তির মধ্যে ইতিকা নাকি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, মাসে ১০ হাজার টাকা না দিলে তিনি নিজের মতই চলবেন। এই অপমান সহ্য করতে পারেননি বিশ্বজিৎ। রাগের মাথায় নিজের বেল্ট খুলে স্ত্রীর গলায় পেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলেন— “শুধরে যা, নাহলে মেরে দেব!” কিন্তু কোনও সাড়া না মেলায়, নিজের রাগকে আর সংযত রাখতে পারেননি তিনি।
তারপরই শ্বাসরোধ করে স্ত্রীর প্রাণ কেড়ে নেন বিশ্বজিৎ। খুনের পর নিজেই ফোন করেন পুলিশে। খবর পেয়ে নিউটাউন থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় এবং বিশ্বজিৎকে গ্রেফতার করে।
এই ঘটনায় স্তম্ভিত স্থানীয় বাসিন্দারা। আবারও প্রশ্ন উঠছে সম্পর্ক, অবিশ্বাস ও সহিংসতার ভয়ানক পরিণতি নিয়ে।