কলকাতার (Kolkata) ভবানীপুরে ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর অপহরণের ঘটনা। ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে অপহরণ করা হয় এক লোন এজেন্টকে। তবে সাহসিকতায় ও তৎপরতায় মাত্র ৩-৪ ঘণ্টায় অপহৃতকে উদ্ধার করল ভবানীপুর (Kolkata) থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচ অপহরণকারীকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার (৩০ মে) তাপসী মজুমদার নামে এক মহিলা থানায় অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী তিমিরকান্তি মজুমদারকে অপহরণ করা হয়েছে (Kolkata)। ঘটনার দিন ছিল বুধবার (২৮ মে)। নেতাজি ভবন মেট্রো স্টেশনের সামনে থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপর অপহৃতের ফোন থেকেই তাপসী দেবীকে হোয়াটসঅ্যাপে কল করে অপহরণকারীরা। তারা (Kolkata) ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং টাকা পাঠাতে বলে UPI মারফত।
ভয়ে প্রথমে ১০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন তিমিরবাবুর স্ত্রী। এরপর তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ পাওয়ার পরই ভবানীপুর থানার পুলিশ (Kolkata) দ্রুত তৎপর হয়। প্রথমে মুক্তিপণের জন্য ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি ট্র্যাক করে তারা জানতে পারে নম্বরটি কার নামে রেজিস্টার্ড।
যাদবপুরের সুকান্ত সেতুর সামনে থেকে সেই ব্যক্তিকে ধরে ফেলে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে বাকি অপহরণকারীদের নাম। এরপর পুলিশ যাদবপুরের একটি আবাসনে হানা দেয় এবং সেখান থেকেই অপহৃত তিমিরকান্তি মজুমদারকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে।
ধৃত পাঁচ অপহরণকারীর নাম: সজল বোস, সুদীপ মজুমদার, সুমন বোস, সমীর কুমার দেব ও সন্দীপন দাস। পুলিশ জানিয়েছে, অপহৃত ব্যক্তি পেশায় লোন এজেন্ট। ঠিক কী কারণে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল, তা নিয়ে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। প্রাথমিকভাবে আর্থিক উদ্দেশ্যেই অপহরণ বলে মনে করছে পুলিশ।
ভবানীপুর থানার সাহসী ও দ্রুত পদক্ষেপে প্রাণে বাঁচলেন এক সাধারণ মানুষ। শহরের নিরাপত্তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছে এই ঘটনা।