আজ সকাল থেকে ফের উত্তাল রাজপথ। ২০২২ সালে উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা দ্রুত নিয়োগের দাবিতে (Job Seekers Protest) রাস্তায় নেমেছেন। বিধানসভা চত্বরে চলল তুমুল বিক্ষোভ। রাস্তায় বসে প্রশ্ন তুললেন আন্দোলনকারীরা—“পাশ করে কি ভুল করেছি?”
এই ঘটনার পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি করলেন, “আন্দোলন সম্পূর্ণ অর্থহীন। পর্ষদ খুব শীঘ্রই ভ্যাকেন্সি লিস্ট প্রকাশ করতে চলেছে (Job Seekers Protest)। এক-দু’দিনের মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি বের হবে। তার আগে এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য কী, আমি জানি না।” কিন্তু এই আশ্বাস মানতে রাজি নন চাকরিপ্রার্থীরা। সন্ধ্যার পর তাঁরা পৌঁছে যান শিক্ষামন্ত্রীর কালিন্দির বাড়ির কাছে। সেখানে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের।
যশোর রোডের ধারে প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা (Job Seekers Protest)। চাকরিপ্রার্থী বিদেশ গাজি তুলনা টানলেন নেপালের গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে। তাঁর বক্তব্য, “নেপালে বেকারত্ব, দুর্নীতি আর স্বজনপোষণের জন্য গণ আন্দোলনে সরকার উৎখাত হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গেও পরিস্থিতি সেই দিকেই এগোচ্ছে। আমরা সরকার বিরোধী নই। কিন্তু ক্ষোভ জমতে জমতে কোথায় গিয়ে ফেটে পড়বে কেউ জানে না।”
চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, পুজোর আগেই ৫০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। এর জন্য এক সপ্তাহ সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা। সতর্কবার্তা দিয়েছেন—এই সময়ের মধ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হলে আরও বড় আন্দোলন হবে এবং হাজার হাজার প্রার্থী নিয়ে বিধানসভা অভিযানে নামবেন তাঁরা।
এক চাকরিপ্রার্থী ক্ষোভে বলেন, “মন্ত্রী দাবি করছেন শূন্যপদ নেই। কিন্তু পর্ষদ সভাপতি নিজেই বলেছেন ৫০ হাজার শূন্যপদ আছে। তাহলে আমরা মিথ্যা বলছি কীভাবে? ভোটের আগেই নিয়োগ চাই।” আরও এক চাকরিপ্রার্থীর কণ্ঠে একই হতাশা—“তিন বছর ধরে শুধু প্রতিশ্রুতি শুনছি। আমরা সরকারবিরোধী নই, শুধু চাই এই প্রতিশ্রুতি এবার বাস্তবে রূপ নিক।”