মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বড়সড় বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিলেন প্রাক্তন সেনাকর্মীরা। তাঁদের এই অবস্থান-বিক্ষোভের অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি (Calcutta High Court) তীর্থঙ্কর ঘোষ।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত গান্ধী মূর্তির পাদদেশে কর্মসূচি করা যাবে। মোট ২২৫ জন প্রাক্তন সেনা এই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। তবে আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে—কোনও বিজেপি নেতা এই আন্দোলনে থাকতে পারবেন না (Calcutta High Court)। শুধু প্রাক্তন সেনাকর্মীরাই উপস্থিত থাকতে পারবেন। লাউডস্পিকার এবং একটি হ্যান্ড মাইক ব্যবহার করার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত মেয়ো রোডে। সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ মঞ্চ খুলে দেয় সেনাবাহিনী। সেনার দাবি ছিল, কেবল দুই দিনের অনুমতি নিয়ে মঞ্চ বানানো হয়েছিল, কিন্তু দীর্ঘদিন সেটি খোলা থাকায় তা ভেঙে ফেলা হয়। এই ঘটনাতেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। মঞ্চ ভাঙতে যেতেই সেখানে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেনাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “এটা সেনার কাজ নয়, এর পিছনে বিজেপি আছে। প্রায় ২০০ সেনা আমাকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল। এটা আপনাদের দোষ নয়, আপনাদের বিজেপির কথায়, দিল্লির নির্দেশে করানো হয়েছে।”
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান প্রাক্তন সেনা-আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি, সেনার নাম টেনে রাজনৈতিক অভিযোগ করা দেশের প্রতিরক্ষাকে অপমান করা। তাই তাঁরা গান্ধী মূর্তির পাদদেশে শান্তিপূর্ণ অবস্থান-বিক্ষোভের আবেদন জানান পুলিশের কাছে। রাজ্য প্রশাসন বিকল্প জায়গার প্রস্তাব দিলেও তাতে রাজি হননি প্রাক্তন সেনারা। শেষ পর্যন্ত আদালতের (Calcutta High court) দ্বারস্থ হন তাঁরা।
আজ আদালত সব দিক খতিয়ে দেখে অনুমতি দিয়েছে বিক্ষোভের। তবে শর্তসাপেক্ষে—রাজনীতির কোনও রং মিশবে না এই কর্মসূচিতে।