অভিরূপ চক্রবর্তীকে ঘিরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Calcutta University) বড়সড় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বর্তমানে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) পিএইচডি-তে আবেদনকারী হলেও, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে সরাসরি সেন্সর করেছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও ধরনের অ্যাকাডেমিক বা প্রশাসনিক কার্যকলাপে তিনি অংশ নিতে পারবেন না।
অভিরূপ কয়েকদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্তের সঙ্গে তীব্র বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ, তিনি উপাচার্যকে নিয়ে একাধিক কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন। তার জেরেই বিশ্ববিদ্যালয় এই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
এদিকে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Calcutta University) শিগগিরই নতুন উপাচার্য আসতে চলেছেন। ফলে এই সেন্সরের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে, নাকি পরিবর্তন হবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপানউতোর। তবে আপাতত অভিরূপের উপর সেন্সর জারি থাকছে বলেই নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। অর্থাৎ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও অনুষ্ঠান, মিটিং বা প্রোগ্রামে তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। পাশাপাশি, তাঁর পিএইচডি আবেদনপত্রও এবার আরও বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখা হবে।
সাম্প্রতিক ঘটনা ঘিরে রাজনীতিতেও উত্তাপ ছড়িয়েছে। কিছুদিন আগেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন উপাচার্য শান্তা দত্ত। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অভিরূপ। প্রকাশ্যে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন—‘ইঞ্চি ইঞ্চি বুঝে নেওয়া হবে’। শুধু তাই নয়, যাঁরা উপাচার্যকে সমর্থন করেছিলেন তাঁদেরও ‘বুঝে নেওয়া’ হবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। ঠিক সেই সময় থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে ওঠে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন অভিরূপ। তাঁর কথায়, “আমার শিক্ষার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা হওয়ায় আমাকে নিশানা করা হচ্ছে। আমি হাইকোর্টে যাব।”