কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার শর্মিষ্ঠা পানোলির জামিনের আবেদন খারিজ করেন। এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু অজ্ঞাত পরিচয়ের একাউন্ট বিচারপতির (Calcutta High Court) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় এবং এমনকি খুনের হুমকি পর্যন্ত দেয়।
এই জামিন খারিজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৩ জুন। তারপর থেকেই X (আগের টুইটার) প্ল্যাটফর্মে একের পর এক হুমকি পোস্ট করতে থাকে কিছু অজ্ঞাত ব্যবহারকারী। কেউ কেউ বিচারপতিকে (Calcutta High Court) “অজানা বন্দুকধারীর” শিকার হওয়ার কথাও লেখেন, যা আমেরিকার ইউনাইটেড হেলথ কেয়ারের সিইও ব্রায়ান থমসন হত্যার ঘটনার সঙ্গে তুলনা টেনে আনা হয়।
এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “এই বাঙালি জাজের দরকার (Calcutta High Court)’কম্বল কুৎতাই’… অথবা অজানা বন্দুকধারী… হিন্দুদেরও তো দরকার এরকম কাউকে, যাতে এই বিচারকদের মধ্যে ভয় ঢুকে যায়।” অন্য একজন সরাসরি লিখেছেন, “পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায়কে মেরে ফেলো।”
ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক দেখে জানিয়েছে, এইসব অ্যাকাউন্টগুলোর বেশিরভাগই সদ্য তৈরি, অনেকেরই প্রোফাইল ছবি অ্যানিমেশন বা খেলোয়াড়দের। কেউ কেউ আবার বিচারপতির ঠিকানা বা ফোন নম্বর খুঁজে বের করার আহ্বানও জানান। এমনকি একজন তো বিচারপতির জীবনীসংক্রান্ত একটি সরকারি লিঙ্ক শেয়ার করে লেখেন, “চল দেখি, ঠিকানা পাওয়া যায় কিনা।”
আরও উদ্বেগজনকভাবে, কিছু একাউন্ট বিচারপতিকে জনসমক্ষে দেখে “জনতার বিচার” করার কথাও লেখে। কেউ কেউ ফরাসি বিপ্লবের উদাহরণ টেনে জনগণকে হিংসার ইঙ্গিত দেয়।
জামিন শুনানিতে বিচারপতি বলেন, “এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছিল এবং কিছু মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।” এই মন্তব্যই বোধহয় ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দেয়।
এদিকে, অভিযুক্ত শর্মিষ্ঠা পানোলি ভিডিওটি ডিলিট করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেও, তার বিরুদ্ধে একাধিক FIR হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে কলকাতা হাই কোর্ট এই সমস্ত মামলাগুলো একত্র করার নির্দেশ দেয়। আগামী ৫ জুন ফের শুনানি হবে।