আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো (Aniket Mahato) ও আরও দুই চিকিৎসকের পোস্টিং নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু রাজ্যের আইনজীবীকে সোজাসাপটা প্রশ্ন করেন— “জুনিয়র ডাক্তারদের পোস্টিংয়ের নিয়মে স্বচ্ছতা আছে তো? এটা কি মেধার ভিত্তিতে হয়, না কি পছন্দ অনুযায়ী কাউকে কোথাও পাঠানো হয়?”
এই প্রশ্নের পেছনে কারণ— অনিকেত মাহাতোর (Aniket Mahato) অভিযোগ। তাঁর দাবি, তিনি (Aniket Mahato) ২৪ নম্বর র্যাঙ্ক পেয়েও আরজি কর হাসপাতালে অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগে সুযোগ পাননি, অথচ তাঁর থেকে পিছিয়ে থাকা ২৬ ও ৩৪ নম্বর র্যাঙ্কধারী চিকিৎসকরা ওই বিভাগে পোস্টিং পেয়েছেন। অথচ এখনও একটি পদ ফাঁকা রয়েছে।
এই অভিযোগ ঘিরেই বিচারপতি রাজ্য সরকারের কাছে হলফনামা আকারে রিপোর্ট তলব করেছেন। শুধু অনিকেত (Aniket Mahato) নন, আরও দুই জুনিয়র ডাক্তার— দেবাশিস হালদার ও আশফাকুল্লা নাইয়ারের মামলাতেও রাজ্যকে আগামী সোমবারের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জানিয়েছেন, আদালত আশা করে রাজ্য অনিকেতের বিরুদ্ধে সোমবার পর্যন্ত কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেবে না। সেইসঙ্গে বাকি যে একটি পদ খালি আছে, সেখানে নতুন নিয়োগও করা যাবে না। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত মৌখিকভাবে আদালতের এই পর্যবেক্ষণে সম্মতি জানান।
অনিকেতের আইনজীবী এদিন সওয়াল করে বলেন, “আমার মক্কেল এখনও জয়েন করেননি। তাই মামলার চলাকালীন যাতে তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে কাজ করতে দেওয়া হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে কোনওরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, সেই নির্দেশ চাওয়া হচ্ছে।”
সব শুনে বিচারপতি বলেন, “শাস্তিমূলক কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।” আগামী মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
এদিন আদালতের নির্দেশের পর অনিকেত মাহাতো (Aniket Mahato) বলেন, “আমাদের আইনজীবীরা আগের শুনানিতে বিষয়টি বিশদে ব্যাখ্যা করেছিলেন। আজ বিচারপতি স্পষ্ট করে জানতে চান, আমাদের অভিযোগের বিরুদ্ধে রাজ্য কী বলছে। অ্যাডভোকেট জেনারেল রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আমার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ আপাতত নেওয়া যাবে না, এবং যে শূন্য পদ রয়েছে, তাও যেন ফাঁকা থাকে— সেটিও আদালত বলে দিয়েছেন।”