আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে শত শত পশু ‘উধাও’ হয়ে যাওয়ার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যে (Alipur Zoo)। চিড়িয়াখানার নথিভুক্ত প্রাণীর সংখ্যা গত কয়েক দশকে অস্বাভাবিকভাবে কমে গিয়েছে বলে দাবি উঠেছে। এই বিষয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার। তিনি তীব্র ভাষায় প্রশ্ন তুলেছেন, “এত সংখ্যক পশু (Alipur Zoo) গেল কোথায়? বিক্রি হল না তো? বেসরকারি চিড়িয়াখানায় পাচার হচ্ছে না তো?” এমন ভয়াবহ প্রশ্ন তুলে তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দেগেছেন।
এদিকে ‘স্বাধীন’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে। তাঁদের দাবি, গত ৩০ বছর ধরেই এই পশু সংখ্যা নিয়ে গরমিল চলছে। আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে, অন্তত গত ১০ বছরের চিড়িয়াখানার (Alipur Zoo) সব নথি খতিয়ে দেখা হোক। তাঁদের বক্তব্য, শুধু গণনার ভুল বলে দায় এড়ানো যাবে না।
জহর সরকারের কথায়, ১৯৯৬ সালে চিড়িয়াখানায় (Alipur Zoo) পশুর সংখ্যা ছিল ১,৮৭২। অথচ ২০২৫ সালে তা কমে এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩৭২। হাতি, জিরাফ, বাঘ, সিংহ—অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী এখন নথিতেই নেই। তিনি অভিযোগ করেন, “সরকারের জবাব দিতেই হবে। এক বছরে প্রায় ৩২১টি প্রাণী নিখোঁজ—এটা গণনার ভুল নয়, এটা গাফিলতি নয়, এটা চরম কারচুপি।”
তিনি আরও বলেন, “চিড়িয়াখানার উন্নয়ন কোথায় হচ্ছে, কিছুই দেখা যাচ্ছে না। সরকারের টাকা লাগলে তার পদ্ধতি আছে, এভাবে পশু গায়েব করেই যদি চালানো হয়, তাহলে ভবিষ্যতে কলকাতা শহর কোন বিপদের মুখে পড়বে, তা ভেবেই আতঙ্ক লাগছে।”
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ও বন দফতর অবশ্য দাবি করেছে, সংখ্যার তারতম্য কেবলমাত্র গণনার ত্রুটি। কিন্তু জনমানসে ইতিমধ্যেই এক ভয়ানক প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে—আসলে কী চলছে আলিপুর চিড়িয়াখানার অন্দরে?