যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং টেসলা ও স্পেসএক্সের সিইও এলন মাস্কের মধ্যে (Trump Vs Musk) সম্প্রতি প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এলন মাস্ক (Trump Vs Musk) সামাজিক মাধ্যমে একের পর এক বিস্ফোরক পোস্ট দিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে “অকৃতজ্ঞতা”র অভিযোগ তোলেন এবং দাবি করেন, ট্রাম্পের নাম জেফ্রি এপস্টিন সংক্রান্ত নথিতেও রয়েছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে জানা যায়, এই সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে ট্রাম্প তার ঘনিষ্ঠদের ফোন করে মাস্কের আচরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি মাস্ককে “মাদকাসক্ত” বলেও আখ্যা দেন। এক সূত্র জানায়, ট্রাম্প বিশ্বাস করেন এলন মাস্কের আচরণ তাঁর মাদক সেবনের ফল হতে পারে।
এদিকে নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাস্ক (Trump Vs Musk) অতীতে জানা তথ্যের চেয়েও বেশি মাত্রায় ড্রাগ ব্যবহার করছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, মাস্ক কেটামিনসহ বিভিন্ন ড্রাগ একসঙ্গে মিশিয়ে গ্রহণ করতেন, যা তার স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

হোয়াইট হাউজ সূত্রের দাবি, মাস্কের ড্রাগ সেবনের অভ্যাস (Trump Vs Musk) ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভাঙার অন্যতম কারণ। মাস্কের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অভাব, হোয়াইট হাউজের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিরোধ, এবং ট্রাম্পের মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন (MAGA) নীতির সঙ্গে মতবিরোধ এই ফাটলকে আরও গভীর করেছে।
ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম উত্তেজনা শুরু হয় যখন মাস্কের DOGE নামের এক সংস্থা ফেডারেল কর্মচারীদের প্রতি সপ্তাহের পাঁচটি অর্জন জানাতে বলে। পরবর্তীতে হোয়াইট হাউজে এক বৈঠকে ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এলন মাস্ককে “প্রতারক” বলেন। উত্তরে মাস্ক বেসেন্টকে ধাক্কা মারেন এবং দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয় (Trump Vs Musk)। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাদের আলাদা করে দেন এবং মাস্ককে ওয়েস্ট উইং থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এই ঘটনার পরে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া ছিল, “এটা আর সহ্য হচ্ছে না।” তার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা স্টিভ ব্যাননের মতে, এই ঘটনার পরই ট্রাম্প মাস্কের আচরণ ড্রাগ ব্যবহারের ফল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।