আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ও কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টিনের সম্পর্ক নিয়ে ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করল নিউ ইয়র্ক টাইমস। পত্রিকার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ১৯৯৩ সালে ট্রাম্পের (Donald Trump) মার-আ-লাগো ক্লাবে একটি ‘ক্যালেন্ডার গার্ল প্রতিযোগিতার’ নামে একটি পার্টির আয়োজন করা হয়, যেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন শুধু ট্রাম্প এবং এপস্টিন।
এই তথ্য সামনে এসেছে “Inside the Long Friendship Between Trump and Epstein” শীর্ষক একটি বিশেষ প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউ ইয়র্ক এবং ফ্লোরিডার পাম বিচে প্রায় ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা যেত ট্রাম্প (Donald Trump) ও এপস্টিনকে, যতদিন না তাদের সম্পর্কে ভাঙন ধরেছিল।
ফ্লোরিডার ব্যবসায়ী জর্জ হুরানে এই পার্টির আয়োজক ছিলেন। তিনি নিউ ইয়র্ক টাইমসকে ২০১৯ সালে বলেন, “আমি বলেছিলাম, ডোনাল্ড (Donald Trump), এটা তো VIP পার্টি হওয়া উচিত। কিন্তু আপনি বলছেন শুধুমাত্র আপনি আর এপস্টিন?”
এই পার্টির রাতে হুরানির তৎকালীন বান্ধবী জিল হার্থ অভিযোগ করেন, ট্রাম্প (Donald Trump) তাঁকে জোর করে চুমু খান, শরীরে হাত দেন এবং তাঁকে পার্টি থেকে বের হতে বাধা দেন। এই অভিযোগ নিয়েও তখন চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাফপোস্ট তাদের রিপোর্টে আরও তুলে ধরে যে, ট্রাম্প (Donald Trump) একসময় এপস্টিনকে “টেরিফিক গাই” বলেও প্রশংসা করেছিলেন। নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিনে ২০০২ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছিলেন, “জেফকে আমি ১৫ বছর ধরে চিনি। দারুণ ছেলে। ও সুন্দরীদের পছন্দ করে, যেমন আমিও করি। তবে ওর পছন্দ একটু কম বয়সী মেয়েরা। নিঃসন্দেহে, জেফ সামাজিক জীবন খুব উপভোগ করে।”
তবে এই সম্পর্কের পরবর্তী পর্যায়ে দূরত্ব তৈরি হয়। ট্রাম্পের দাবি, তিনি ২০০৯ সালে এপস্টিনকে মার-আ-লাগো ক্লাব থেকে নিষিদ্ধ করেন, কারণ এপস্টিন নাকি এক ক্লাব সদস্যের মেয়ের প্রতি ‘অনুচিত আচরণ’ করেছিলেন।
এদিকে, হোয়াইট হাউস ট্রাম্প-এপস্টিন সম্পর্ক নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য না করলেও প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, “ট্রাম্প নিজেই এপস্টিনকে ক্লাব থেকে নিষিদ্ধ করেছিলেন, কারণ তিনি ‘ক্রীপি’ ছিলেন।”
এই রিপোর্ট এমন এক সময়ে সামনে এল, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপর চাপ বাড়ছে এপস্টিন কাণ্ডে সমস্ত গোপন নথি প্রকাশের। যদিও ট্রাম্প এই গোটা মামলাকেই উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, “এটা জেফরি এপস্টিন হোক্স!”