সিঙ্গাপুরের (Singapore) বিখ্যাত জুয়েল চাঙ্গি বিমানবন্দর থেকে প্রায় ৩.৫ লক্ষ টাকার পারফিউম, কসমেটিকস ও ব্যাগ চুরি করে পালিয়েছিলেন এক ৩৮ বছর বয়সী ভারতীয় নাগরিক। ঘটনাটি ঘটে গত ২৯ মে, যখন এক দোকানের কর্মী রুটিন ইনভেন্টরি চেকের সময় একটি ব্যাগ উধাও দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয় এবং তদন্তে নেমে ধরা পড়ে ভয়াবহ চিত্র (Singapore)।
সিসিটিভি ফুটেজ, তথ্যপ্রযুক্তি এবং অন্যান্য সূত্র ব্যবহার করে সিঙ্গাপুর (Singapore) পুলিশ ওই ভারতীয় ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করে। তবে ততক্ষণে অভিযুক্ত দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিল (Singapore)। কিন্তু নাটকীয় মোড় আসে ১ জুন, যখন ওই ব্যক্তি আবার সিঙ্গাপুরে (Singapore) ফিরে আসেন। তখনই ট্রানজিট থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে চুরি এবং জাল সম্পত্তি রাখার অভিযোগ আনা হবে ২ জুলাই।
এই ঘটনা সামনে আসতেই আরও এক পুরনো ঘটনার খোঁজ উঠে এসেছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে আরেক ভারতীয় নাগরিক সিংহ সাগরকে গ্রেফতার করা হয়, যিনি মার্চ মাসে চাঙ্গি বিমানবন্দরের টার্মিনাল ৩ থেকে প্রায় ₹১.১৪ লক্ষ টাকার জিনিস চুরি করেছিলেন। চুরি হওয়া জিনিসের মধ্যে ছিল গয়না, চকোলেট, স্টেশনারি এবং পাওয়ার ব্যাংক।
এদিকে, ভারতের বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও ঘটেছে এক চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনা। এক ব্রাজিলিয়ান নাগরিক রবি গামা ডিসা, বিলাসবহুল Ethos ডিউটি-ফ্রি স্টোর থেকে প্রায় ₹৩ লক্ষ মূল্যের দুটি ঘড়ি চুরি করেন। ঘটনাটি ঘটে জানুয়ারি মাসের ৪ তারিখ, মধ্যরাত ১২.৫০ মিনিট নাগাদ। অভিযোগ, তিনি ঘড়ি দেখার অজুহাতে দোকানে ঢুকে চুপিসারে দুটি দামী ঘড়ি নিয়ে পালিয়ে যান।
এইসব ধারাবাহিক চুরির ঘটনায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলির নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে বড় প্রশ্ন। কোথাও ভারতীয় নাগরিক, তো কোথাও বিদেশি! বিমানে ওঠার আগে যদি এমন দুঃসাহসিক চুরি হয়, তবে নিরাপত্তা কোথায়? তদন্ত জারি রয়েছে এবং এই সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দর প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপের দাবি তুলছেন অনেকে।