Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ‘আমাদের শিশু আগুনে পুড়ছে, অনাহারে মরছে…’, রাষ্ট্রসংঘে কেঁদে ফেললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
বিদেশ

‘আমাদের শিশু আগুনে পুড়ছে, অনাহারে মরছে…’, রাষ্ট্রসংঘে কেঁদে ফেললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত

Email :20

রাষ্ট্রসংঘে ফিলিস্তিনের স্থায়ী প্রতিনিধি রিয়াদ মানসুর (Palestinian ambassador) বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি (Palestinian ambassador)আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।

মানসুর (Palestinian ambassador) কাঁপা কণ্ঠে বলেন, “ডজন ডজন শিশু অনাহারে মারা যাচ্ছে। মা’রা তাদের নিথর দেহকে বুকে চেপে ধরে, চুলে বিলি কেটে দেয়, কথা বলে, ক্ষমা চায় — এটা সহ্য করার মতো নয়।”

তিনি (Palestinian ambassador) আরও বলেন, “আমারও নাতি-নাতনি আছে। আমি জানি, সন্তানেরা পরিবারের কাছে কী মূল্যবান। ফিলিস্তিনিদের এই অসহ্য যন্ত্রণা দেখে বিশ্ব যদি চুপচাপ থাকে — এটা কোনো মানবিক বিবেকের পক্ষে সহ্য করা সম্ভব নয়।” বক্তব্য দিতে দিতে তিনি ডেস্কে মুষ্টিবদ্ধ হাত মেরে বলেন, “আগুন আর অনাহারে পুড়ছে ফিলিস্তিনের শিশু। এই কারণেই আমরা ক্ষুব্ধ — আমরা ১ কোটি ৪০ লাখ ফিলিস্তিনি, যেই থাকি না কেন, দখলদারিতেও হই, ডায়াস্পোরায় হই, শরণার্থী শিবিরে হই।” “আমরা আমাদের সন্তানদের ভালোবাসি। আমাদের জাতিকে ভালোবাসি। আমরা চাই না তারা এই বর্বরতা ও দুর্ভোগের মধ্যে পড়ুক,” তিনি (Palestinian ambassador) বলেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে। ওই হামলায় ১,২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হন এবং ২৫১ জনকে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রতিশোধমূলক অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৫৪,০০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। মন্ত্রণালয় বেসামরিক ও যোদ্ধা আলাদাভাবে হিসাব করে না। চলমান রক্তপাত বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপ থাকলেও, এখনো কোনো যুদ্ধবিরতির সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি মধ্যস্থতাকারীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts