পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান (Imran Khan) স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, তিনি (Imran Khan) মুক্তির জন্য কোনো আলোচনা করবেন না বর্তমান “পুতুল সরকার” পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর সঙ্গে। বরং তিনি (Imran Khan) কেবলমাত্র সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করতে চান। তাঁর কথায়, এটি একান্তই “জাতীয় স্বার্থে” করা হবে। কারাবন্দি ইমরান খান আরও বলেন, “আমি কষ্টকে ভয় পাই না, আমার সংকল্প অটুট আছে।”
২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতা থেকে সরানোর পর থেকেই একাধিক মামলার মুখে পড়েন ইমরান খান (Imran Khan) । আগস্ট ২০২৩ থেকে তিনি আদিয়ালা উচ্চ-নিরাপত্তা জেলে বন্দি।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ পোস্ট করে তিনি (Imran Khan) লেখেন, “পিএমএল-এন-এর সঙ্গে কোনো আলোচনা অর্থহীন। এই সরকার অবৈধভাবে ‘ফর্ম-৪৭’ এর মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। তারা কেবলমাত্র ভুয়া ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য সময় নষ্ট করছে। আসল ক্ষমতা যাঁদের হাতে, কেবল তাঁদের সঙ্গেই আলোচনার কথা ভাবা যায়, তাও একমাত্র দেশের স্বার্থে।”
তিনি দাবি করেন, তাঁর ও পিটিআই-এর অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে যে রাজনৈতিক মামলাগুলি চলছে, যে গুম, জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় এবং প্রেস কনফারেন্স করানো হচ্ছে—সবই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পিটিআই দলটিকে ধ্বংস করতে করা হয়েছে।
ইমরান খান বলেন, “আজ পাকিস্তানে আইনের শাসন নেই, চলছে জঙ্গলের আইন।” তিনি আরও জানান, গত দুই বছর ধরে ‘মে ৯’-এর ঘটনাকে সামনে এনে তাঁদের দলকে দমন করা হচ্ছে। তিনি একে ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন’ বলে বর্ণনা করে দাবি করেন, “আজও কোনো সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়নি। যদি সেই ফুটেজ প্রকাশ করা হয়, সত্য সবের সামনে পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
তিনি এটাও বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ তাঁর সঙ্গে আলোচনা করার জন্য এগিয়ে আসেনি। “এই ধরনের খবর একেবারেই মিথ্যা,” স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন ইমরান খান।
জেলে তাঁর উপর মানসিক চাপ সৃষ্টির অভিযোগও করেন তিনি। জানান, তাঁকে সন্তানদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না, পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ইচ্ছামতো দিনের পর দিন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এমনকি তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসককেও দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে এতকিছুর পরও তিনি জানান, “জাতির স্বার্থে আমি অটল থাকব।”