গাজায় চলমান যুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব ইজরায়েল গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। তবে হামাস (Hamas) এখনো সেই প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, “ইজরায়েল নতুন প্রস্তাবে সায় দিয়েছে।” তবে হামাস (Hamas) এখনো এই পরিকল্পনার পর্যালোচনার প্রক্রিয়ায় আছে বলে জানিয়েছে।
হামাস (Hamas) জানিয়েছে, মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে তারা একটি “সাধারণ কাঠামোয়” পৌঁছেছে। ওই কাঠামো অনুযায়ী, দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে ইজরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, নিয়মিত ত্রাণ প্রবেশ এবং গাজার প্রশাসন নিরপেক্ষ একটি ফিলিস্তিনি কমিটির হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যাদের হামাসের সঙ্গে কোনো সংযোগ থাকবে না (Hamas) ।
পুরো পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়নি। তবে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, এতে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি, দীর্ঘমেয়াদী শান্তি আলোচনার নিশ্চয়তা এবং পণবন্দিদের মুক্তির পর পুনরায় যুদ্ধ না শুরুর প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইজরায়েলি সেনারা মার্চ মাসে শেষ হওয়া আগের যুদ্ধবিরতির সময় যে অবস্থানে ছিল, সেই অবস্থানে ফিরে যাবে।
প্রতিদিন গাজায় খাবার ও ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকবে। এই সময়ের মধ্যে হামাস ১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং আরও কয়েকজনের মরদেহ ফিরিয়ে দেবে। এর বিনিময়ে ১,১০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে, যাদের মধ্যে ১০০ জন মারাত্মক হামলার দায়ে কারাবন্দি।
ইজরায়েলের অবরোধে গাজা বর্তমানে দুর্ভিক্ষের মুখে। গত তিন মাসে মানবিক বিপর্যয় আরও বেড়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসীরা দক্ষিণ ইজরায়েলে হামলা চালায়, যেখানে প্রায় ১,২০০ মানুষ নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। পরবর্তীতে কিছু চুক্তির মাধ্যমে অর্ধেকের বেশি জিম্মিকে মুক্ত করা হয়েছে।
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইজরায়েলের সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫৪,০০০’র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।