বাংলাদেশে (Bangladesh) রাজনৈতিক বিক্ষোভ বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচি বেড়ে গেছে। যদিও বেশিরভাগ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হয়, তবে দূতাবাসের ভাষ্যমতে, সেগুলো হঠাৎ করেই সহিংস হয়ে উঠতে পারে (Bangladesh)।
আজ এক বিবৃতিতে দূতাবাস বলেছে, “সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ জুড়ে (Bangladesh) বিক্ষোভের পরিমাণ বেড়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হওয়া এসব কর্মসূচি হঠাৎ করেই সহিংস রূপ নিতে পারে এবং অল্প সময়ের নোটিশেই সংগঠিত হতে পারে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বড় জমায়েত বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে (Bangladesh) এবং মার্কিন নাগরিকদেরকে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে ও সতর্কভাবে চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে স্থানীয় খবরাখবর ও পরিস্থিতি সম্পর্কে নিয়মিত অবগত থাকার কথাও বলা হয়েছে।
বাংলাদেশে (Bangladesh) অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি ও তা পুনঃপর্যালোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্মার্ট ট্রাভেলার এনরোলমেন্ট প্রোগ্রামে (STEP) নাম লেখানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা সরাসরি নিরাপত্তা সংক্রান্ত আপডেট পেতে পারেন।
এদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যার নেতৃত্বে রয়েছেন নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনুস, ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে পড়েছেন। সেনাবাহিনী ও রাজনৈতিক দলগুলোর চাপের পাশাপাশি, এখন দেশজুড়ে চলছে শিক্ষক-কর্মচারীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষের বিক্ষোভ।
গত শনিবার থেকে হাজারো সরকারি কর্মচারী আন্দোলনে নামার পর এবার ‘প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে প্রাথমিক শিক্ষকরাও অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে গেছেন।
ইতোমধ্যে আলোচনায় এসেছে, সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের কড়া অবস্থানের পর ইউনুস সরকার সংকটে পড়েছে। নির্বাচন এগিয়ে আনার প্রস্তাব ও রাখাইন করিডোর ইস্যুতে সেনাবাহিনীর আপত্তির মুখে তিনি ২৩ মে পদত্যাগের ইঙ্গিত দেন।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সহ বিভিন্ন দলের বিক্ষোভে রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।