ঢাকার (Bangladesh) উত্তরার দিয়াবাড়িতে ঘটল এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অল্প দূরে, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনের উপর ভেঙে পড়ল বাংলাদেশ (Bangladesh) বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই মডেলের যুদ্ধবিমান। সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ এই দুর্ঘটনায় গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে বিস্ফোরণের আওয়াজে। সঙ্গে সঙ্গে দাউদাউ করে আগুন ধরে যায় স্কুল ভবনে, যার ভেতরে তখন চলছিল ক্লাস।
এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ঘটনায় (Bangladesh) একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হয়ে ভর্তি হয়েছেন ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। তাঁদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে গেছে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট। বিস্ফোরণের ফলে গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়; অনেক দূর থেকেও তা দৃশ্যমান ছিল।
বিমান বাহিনীর (Bangladesh) তরফে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার শিকার যুদ্ধবিমানটি ছিল একটি প্রশিক্ষণ মিশনে। দুপুর ১টা ৬ মিনিটে এটি আকাশে ওড়ে এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুল ভবনের উপর আছড়ে পড়ে। এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি, পাইলট বেঁচে আছেন কি না। নিহত ব্যক্তির পরিচয়ও প্রকাশ্যে আসেনি। তবে দুর্ঘটনার সময় স্কুল কক্ষে পড়ুয়াদের উপস্থিতি থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা (Bangladesh) লিমা খানম। তিনি বলেন, “আমাদের টিম একজনের দেহ উদ্ধার করেছে। বিমান বাহিনীর সদস্যরা আরও চারজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন। ভবনে প্রচুর ধোঁয়া আর আগুন ছিল, উদ্ধার কাজ করতে বেশ সময় লেগেছে।” প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই জানিয়েছেন, প্রথমে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়, তারপর মুহূর্তেই আগুন লেগে যায় ভবনে। শিশুরা আতঙ্কে ছুটোছুটি করতে থাকে।
দুর্ঘটনার পরপরই বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস এক শোকবার্তা জারি করে জানান, “মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমানের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি গভীর শোক ও দুঃখ জানাচ্ছি। সরকার ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে অতীতের বেশ কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনার স্মৃতি, বিশেষ করে ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনার কথা। বর্তমানে বিমানবাহিনী, দমকল ও পুলিশ যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে। দুর্ঘটনার সময় স্কুলে প্রায় ১০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী ও শিক্ষক ছিলেন বলে সূত্রের খবর।