সংসদের মধ্যেই ই-সিগারেট টানা হচ্ছে—বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ তুলতেই লোকসভায় উত্তেজনা ছড়িয়ে দেন বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর (Anurag thakur)। তাঁর দাবি, তৃণমূলের এক সাংসদ অধিবেশন চলাকালীনই ই-সিগারেট খাচ্ছিলেন। নাম প্রকাশ না করলেও এই বক্তব্য ছড়াতেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা।
ঘটনা প্রশ্নোত্তর পর্বে। অনুরাগ (Anurag thakur) স্পিকার ওম বিড়লাকে উদ্দেশ করে বলেন, দেশে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ। কিন্তু তৃণমূলের এক সাংসদ সংসদের মধ্যে তা খাচ্ছেন। স্পিকার জানান, তিনি কোনও অনুমতি দেননি। অনুরাগ বার বার অনুরোধ করেন বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গেই যাচাই করার জন্য। তাঁর দাবিতে সায় দেন বিজেপির অন্যান্য সাংসদও। ফলে লোকসভায় হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। তৃণমূলের বেঞ্চ থেকেও তীব্র প্রতিবাদ আসে।
শেষ পর্যন্ত স্পিকার জানান, অভিযোগ এবং সংশ্লিষ্ট মন্তব্য লিখিত আকারে জমা দিলে তবেই তিনি ব্যবস্থা নেবেন। সেই অনুযায়ী শুক্রবার স্পিকারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন অনুরাগ (Anurag thakur)। যদিও নথিতে তিনি এখনও ওই সাংসদের নাম উল্লেখ করেননি।
ঘটনার পর তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, তিনি জানেন না কে এই কাজ করেছেন। কিন্তু সংসদের ভিতরে ই-সিগারেট খাওয়া সম্পূর্ণ নিয়মবিরুদ্ধ। কেউ করলে স্পিকার অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন। লোকসভার বাইরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং মজার ছলে সৌগতকে বলেন, “দাদা, আপনি সিগারেট খাচ্ছেন আর আমাদের ক্ষতি করছেন!” জবাবে সৌগতের মন্তব্য, “দিল্লির দূষণ যত খারাপ, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি আর আমি কীইবা করব!”
সূত্রের খবর, বেশ কয়েক দিন ধরেই ওই সাংসদকে ই-সিগারেট টানতে দেখা গিয়েছে। সতীর্থদের নিষেধ সত্ত্বেও তিনি থামেননি বলেও জানা গেছে। তৃণমূলের ভিতরে কেউ নাম প্রকাশ করছেন না। তবে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা, অনুরাগের (Anurag thakur) অভিযোগের নিশানা সম্ভবত কীর্তি আজাদ।
এখন নজর স্পিকারের পদক্ষেপের দিকে। সংসদের এই অভূতপূর্ব ই-সিগারেট কাণ্ডে নতুন কোন মোড় আসবে, সেটাই দেখার।












