পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ISI-র হয়ে কাজ করার অভিযোগে দিল্লি পুলিশ রাজস্থানের মেওয়াত জেলার দীগ এলাকা থেকে কাসিম নামে এক যুবককে (Pakistani Spy) গ্রেপ্তার করেছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গত এক বছরের মধ্যে কাসিম দু’বার পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন এবং সেখানেই তিনি ISI-র হ্যান্ডলারদের কাছ থেকে গুপ্তচরবৃত্তির (Pakistani Spy) প্রশিক্ষণ পান।
এই সফরের একটি প্রমাণ হিসেবে একটি ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও সামনে এসেছে, যেখানে কাসিমকে পাকিস্তানের এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে (Pakistani Spy)। ভিডিওতে কাসিমকে বলা হচ্ছে, “আপনাকে আবার পাকিস্তানে স্বাগত, কেমন লাগছে ফিরে এসে?” — উত্তরে কাসিম বলেন, “এখানে এলেই মনে হয় নিজের ঘরে ফিরে এসেছি। এখানকার মানুষ এত ভালোবাসে যে আবার চলে এসেছি। তিন মাসের মধ্যেই ফিরে এলাম।”
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের আগস্ট ও ২০২৫ সালের মার্চে পাকিস্তান যান কাসিম, মোট প্রায় ৯০ দিন সেখানে অবস্থান করেন। এই সময়ে ভারতীয় সিমকার্ড পাকিস্তানে পাচার করার কাজ করতেন তিনি। ওই সিমকার্ড ব্যবহার করে পাকিস্তানি গোয়েন্দারা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ভারতীয় সেনা ও প্রতিরক্ষা দপ্তরের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে গোপন তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা করত।
কাসিম শুধু নিজে জড়িত ছিলেন না, বরং আরও কয়েকজনকে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করেছেন বলেও তদন্তকারীদের দাবি। তার ভাই হাসিনকেও দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, হাসিনও বারবার পাকিস্তানে যেতেন আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করার অজুহাতে, আর সেখানে ISI-র সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। হাসিনের ভিসা মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কাসিমকে সেই কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়।
তদন্তে উঠে এসেছে, হাসিনের নামে দিল্লির আনন্দ পরিবত এলাকা থেকে সিমকার্ড সংগ্রহ করা হয় এবং কাসিম তা পাকিস্তানে নিয়ে যান। এই সিমকার্ড ব্যবহার করে পাকিস্তান থেকে ভারতীয় প্রতিরক্ষা আধিকারিকদের ‘হানিট্র্যাপে’ ফেলার চেষ্টা চলছিল। DRDO ও মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের কর্মীদের টার্গেট করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে হাসিনকে পেশ করা হলে আদালত জানতে চায় এটি সাইবার জালিয়াতির ঘটনা কিনা। তবে পুলিশ প্রমাণ পেশ করে জানায়, এটি সরাসরি গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে জড়িত। আদালত হাসিনকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে।
সূত্রের দাবি, কাসিমের বিরুদ্ধে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’-এর ধারাও প্রয়োগ করা হতে পারে।